সুহাসিনীর নাম আকৃতি কাক্কার। বলিউড গায়িকা। হোটেল ওয়েস্টিনের নিচের ফ্লোরে বসে মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
সেখানেই আলাপ বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে।
তবে তারও আগে বলে নেওয়া দরকার আতিফ আসলামের কথা।
পাকিস্তানি এ গায়ক, ভারতের আকৃতি কাক্কার ও মমতা শর্মা ঢাকায় এসেছেন। তাদের আগমনের কারণ ‘রিদম ফর অল উইথ আতিফ আসলাম নাইট লাইভ ইন ঢাকা’ কনসার্টে অংশ নেওয়া। স্বাভাবিকভাবে এ আয়োজনের মধ্যমণি পাকিস্তানি এ অভিনেতা-গায়ক। আয়োজনকে ঘিরে সংবাদ সম্মেলন ছিল রবিবার সকাল ১১টায়। ঠিক এ সময় সম্মেলন কক্ষে পৌঁছে কিছুটা চমকে উঠতে হলো। কারণ মঞ্চে একাই বসে আছেন আতিফ! সঙ্গে আয়োজক এটিএন এন্টারনেইনমেন্টর এক কর্মকর্তা।
প্রায় ফাঁকা রুমে আয়জনের মধ্যমণির এভাবে বসে থাকাটা ইদানীং বেমানান।
এটাকে মানিয়ে নিতে আসলাম নিজেই কথা বলা শুরু করলেন। ‘আরেহ ইয়ার, একটু পরেই তো সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে। আগে এলাম। অন্য একটা কারণও আছে।’
আতিফের কথা শুনতে শুনতে সংবাদ সম্মেলনে অন্য সাংবাদিকরা আসা শুরু করলেন।
তার কিছুক্ষণ পরই এলেন গায়িকা আকৃতি কাক্কার। আর সকালে বিমান থেকে নেমে ঢাকার রাস্তায় তখনও মমতা। জ্যামের কারণে এসে পৌঁছাতে পারেননি।
এদিকে সম্মেলনে একটা তথ্যের অর্ধেক কথা বলেছেন আকৃতি। তাই নিচে হোটেল লবিতে যখন ফের দেখা মিলল তখন বাকি উত্তর পাওয়ার চেষ্টা।
‘আচ্ছা, আপনি তো সংবাদ সম্মেলনে বললেন, একটি বাংলাদেশি ছবিতে গেয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি আরও একটি গান আপনি গেয়েছেন, সেটার কথা কিছু বললেন না।’
প্রশ্নটা শুনে কিছুক্ষণ থেমে থাকলেন কাক্কার। খানিকবাদে বিষয়টি তিনি নিজেও যেন বুঝে উঠলেন। ‘হ্যাঁ, একটা গানের রেকর্ডিং হয়েছে। কিন্তু সেটা তো এখনও প্রকাশ পায়নি। ডিজে আকস তৈরি করেছেন। বেশ ভালো গানটি।’
তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হলো- গানটির শিরোনাম ‘সুখের মিছিলে’। এর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ডিজে আকস। গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন।
কাক্কার পাঞ্জাবি মেয়ে হলেও জন্ম এবং বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। ২০০৪ সালে ‘দাস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পদচারণা। এরপর বলিউডের ৫০টির কাছাকাছি ছবিতে গেয়েছেন।
এদিকে আতিফ আসলামের এটা দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা সফর।
তবে আগের সফর বাদ দিয়েও বাংলাদেশ সম্পর্কে অন্য একটা মজার ঘটনা বললেন।
বাংলাদেশকে ভালোলাগার আর কোনও কারণ আছে?
‘একটা মজার তথ্য দিই। আমার ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ফ্যান হলো বাংলাদেশি। সত্যিই তাই। এদেশের অনেক মানুষ আমার গান পছন্দ করেন- এটা টের পাওয়া যায়। আর কনসার্টে তাদের যে হর্ষধ্বনি, তা ভোলার নয়। এ কারণে বাংলাদেশকে আলাদাভাবে মনে রাখি। আর এখানের আতিথেয়তা অসাধারণ।’
আতিফের পরিবারে কখনও সংগীতচর্চা ছিল না। এছাড়া আতিফ কখনও সংগীতে তালিমও নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, এটা প্রাকৃতিকভাবে হয়েছে। অনেকটা নিজের ইচ্ছের কারণে। নিজেই যেন ছিলেন নিজের অনুপ্রেরণা।
রবিবার (আজ) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে এ তিন শিল্পীর কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন দেবাশীষ বিশ্বাস ও আমব্রিন। কনসার্টের আয়োজন করেছে এটিএন এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। আয়োজকরা জানান, কনসার্ট থেকে টিকিট বিক্রির একটি অংশ দুস্থ শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।