জন্মদিন প্রসঙ্গে আসাদ বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার মধ্যে তেমন কোনও উচ্ছ্বাস কাজ করে না। বরাবরই এই দিনে নিজের মতো করে থাকি। সবার কাছে দোয়া চাই যেন ভালো থাকি, সুস্থ থাকি।’
মুক্তিযুদ্ধের পরপরই মূলত ১৯৭২ সালে বেতার, মঞ্চে ও টেলিভিশনে রাইসুল ইসলাম আসাদের অভিনয়ে যাত্রা হয়। চলচ্চিত্রে তিনি নাম লেখান ১৯৭৩ সালে। খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’ নামের আলোচিত ছবিটি ছিল প্রথম ছবি। এরপর ১৯৮০ সালে সালাহউদ্দিন জাকীর ‘ঘুড্ডি’, ১৯৮১ সালে সৈয়দ হাসান ইমামের ‘লাল সবুজের পালা’, ১৯৮৪ সালে কাজল আরেফিনের ‘সুরুজ মিঞা’-সহ এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেন এই বহুমাত্রিক অভিনেতা।
আরও পড়ুন: জার্নি টু ওয়ার: সামনে মৃত্যু, কণ্ঠে জয় বাংলা
চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এখন পর্যন্ত তিনি ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘অন্য জীবন’, ‘লালসালু’, ‘দুখাই’, ‘ঘানি’ ও ‘মৃত্তিকামায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি এই সম্মাননা লাভ করেন।
রাইসুল ইসলাম আসাদের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৫ জুলাই, ঢাকায়। ছিলেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে যখন ডাক পড়লো, তখন মুক্তিকামী বীরসেনানীদের সঙ্গে তিনিও ঝাঁপিয়ে পড়লেন মুক্তিযুদ্ধে।
রাইসুল ইসলাম আসাদ ১৯৭৯ সালের ৯ই নভেম্বর তাহিরা দিল আফরোজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার একমাত্র কন্যার নাম রুবায়না জামান।
/এমএম/