১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন বৃটিশ সরকারের প্রথম মুসলমান সরকারি কৌঁসুলি। মায়ের নাম বেগম কওকাবুন্নেসা। উপমহাদেশীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা ছিলেন ফিরোজা বেগম। সংগীতের সব শাখাতেই ছিল তার পদচারণা। তবে নজরুলসংগীতে নিজেকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ফিরোজা বেগম ১৯৪২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কলকাতায় নিয়মিত গান করেছেন। ১৯৪২-এর ডিসেম্বরে এইচএমভি থেকে তার প্রথম রেকর্ড বের হয়। এরপর একের পর এক রেকর্ড বের হতে থাকে। আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত, গজল, ভজন সব গানই তখন করেছেন। ১৯৫১ সালে কলকাতায় কমল দাশগুপ্তের সুরে বেশকিছু গান করেন। এভাবেই তার সংগীত গুরু হয়ে ওঠেন কমল দাশগুপ্ত। তিনি নজরুলের কথার সুর দিতেন আর ফিরোজা বেগম সেগুলো কণ্ঠে তুলে নিতেন।
১৯৫৬ সালে কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজা বেগম। তবে ১৯৭৪ সালে স্বামীর মৃত্যু ও দেশভাগের সময় অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আর সংগ্রামের ভেতর দিয়ে ফিরোজা বেগম হয়ে যান নজরুলসংগীত সম্রাজ্ঞী। তার দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশে অনেক জনপ্রিয় নজরুল সংগীতশিল্পীর আবির্ভাব হয়েছে।
নজরুলসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ফার্মগেটের বাসায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে পারিবারিক ভাবে। বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই জানালেন ফিরোজা বেগম পুত্র হামিন আহেমেদ। তবে এই কিংবদন্তির মৃত্যুদিনে শিল্পকলা একাডেমি কিংবা অন্য কোনও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও আয়োজনের খবর পাওয়া যায়নি।
/এমএম/