তবে সেই সুখ-যাত্রা অব্যাহত রেখেই ইমন এবার নতুন গল্প নিয়ে মাঠে নেমেছেন। নতুন ছবির নাম রেখেছেন ‘অপদার্থ’, যার ইংরেজি নাম ‘অ্যা ফুলিশ ম্যান’। তিনি জানান, ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ এশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ইন্ডাস্ট্রি ইভেন্ট 'ফিল্ম বাজার’-এর কো-প্রোডাকশন মার্কেটে এই বছরের নির্বাচিত প্রজেক্টের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি।
গত ৩ অক্টোবর দাফ্তরিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফিল্ম বাজার এবারের আসরে নির্বাচিত ১৮টি ছবির নাম ঘোষণা করেছে। ২০০৭ সাল থেকে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (এন এফ ডি সি ) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া ফিল্মবাজার কো-প্রোডাকশন মার্কেটের এবার ১০ম বছর। গত এক দশকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে যেই ছবিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছে তার অধিকাংশেরই আঁতুড়ঘর ছিল এই ফিল্মবাজার।
নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন জানান, আগামী ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর ভারতের গোয়ায় সারা বিশ্ব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনালরা আসবেন এই ফিল্ম বাজারে।
এবারের আসরে বাংলাদেশের আরেক নির্মাতা রেজোয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ছবি ‘দ্য সল্ট ইন আওয়ার ওয়াটারস’ ছবিটিও নির্বাচিত হয়েছে কো-প্রোডাকশন মার্কেটের জন্য। বাংলাদেশের এই দুইটি প্রজেক্ট ছাড়াও, নেপালের একটি এবং চায়না/নেদারল্যান্ড এর একটিসহ মোট চারটি ছবি নির্বাচিত হয়েছে ভারতের বাইরে। বাকি ১৪টি প্রজেক্ট নির্বাচিত হয়েছে ভারত থেকে।
ইমন বলেন, ‘‘জালালের গল্প’ তৈরির আগেই প্রস্তুতি ছিল এই ছবিটির জন্য। তখন নাম ছিল ‘একজন পুলিশের গল্প’ (ইংরেজিতে 'দ্য টেল অব অ্যা পুলিশম্যান’)! ছবিটির জন্য আমি ২০১১ সালে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান সিনেমা ফান্ড থেকে চিত্রনাট্য উন্নয়নের জন্য অনুদানও পেয়েছি। পাশাপাশি এটি ২০১১ সালে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে অংশ নিয়ে, সুইডেনের গোটেবোর্গ চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সেরা পিচিং এর জন্য পুরস্কার পেয়েছি। এছাড়াও ২০১২ সালে চীনের বেইজিং চলচ্চিত্র উৎসবের ফিল্ম মার্কেটে অংশ নিয়েছি ছবিটির জন্য। সেরা পিচিং এর জন্য পুরস্কার পেয়েছি সেখানেও। খুব সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া ২০১৬ লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোরস এর 'ল্যাব’ বিভাগেও ‘অপদার্থ' ছবিটি নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম। ফলে আগাম আশা করতেই পারি ভালো একটি বিশ্বমানের চলচ্চিত্র হয়ে উঠবে ‘অপদার্থ’।’’
/এমএম/