এরমধ্যে রিবার্থ অব দ্য ফ্লেশ, ইলেক্ট্রিক ইন্টারকোর্স এবং এক্সট্রালোভিয়েবল-এর মতো গানগুলো রয়েছে। এ গানগুলো চুরি করে প্রকাশ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়নি। এছাড়া প্রিন্সের সংগীত ভাণ্ডারের মধ্যে শত শত ঘণ্টার লাইভ রেকর্ডিং ও কনসার্ট ফুটেজ রয়েছে।
বিলবোর্ড ম্যাগাজিন জানিয়েছে, প্রিন্সের সংগীত ভাণ্ডারের এ তিন ধরনের উপাদানকে রূপায়ণ করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। অসমর্থিত এক সূত্রের বরাত দিয়ে ম্যাগাজিনটি আরও জানায়, ২০১৪ সালে ঘোষিত পার্পল রেইন-এর উন্নত সংস্করণটি ২০১৭ সালে প্রকাশ হবে। এ বছরের শেষের দিকে প্রিন্সের জনপ্রিয় গানগুলোকে একসঙ্গে করে একটি নতুন অ্যালবাম প্রকাশ হতে পারে।
প্রিন্সের এ সংগীত ভাণ্ডারটি তার পেইসলি পার্কের বাড়ির বেজমেন্টে সংরক্ষিত ছিল। এলিভেটর ব্যবহার করে সেখানে যেতে হতো। একটি স্টিলের দরজার পেছনেই লুকানো ছিল কক্ষটি আর তাতে তালা দেওয়া ছিল। প্রিন্সই কেবল তা খুলতে পারতেন। প্রয়াত এ সংগীত তারকার মৃত্যুর পর তার সম্পদের দায়িত্ব নেওয়া কোম্পানি ড্রিল করে সেই কক্ষে ঢুকতে সক্ষম হয়।
২০০৭ সালে প্রিন্সের একটি লাইভ কনসার্ট:
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল নিজের স্টুডিওর এলিভেটরের ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংগীতশিল্পী প্রিন্সকে। মাত্র ৫৭ বছর বয়সে এই প্রতিভাধর শিল্পীর মৃত্যুর কারণ জানতে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। প্রিন্সের জন্ম ১৯৫৪ সালে। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি গান লিখতে শুরু করেন। সংগীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করতে শুরু করেন ১৯৮০’র দশক থেকে। প্রিন্স ছিলেন একাধারে বাদক, গায়ক, কবি ও সুরস্রষ্টা। সংগীতাঙ্গনে ব্যাকরণ ও প্রযুক্তির উন্নতিতেও ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/এমএম/