ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন সৃষ্টিশীল শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে তার যুগলবন্দি ব্যান্ড ‘দলছুট’ উপহার দিয়েছিল অসংখ্য শ্রোতানন্দিত গান।
ফিচার সাংবাদিকতায় তার সৃষ্টিশীলতা নতুন দিগন্তের সূচনা করে। বিশেষ করে দৈনিক পত্রিকায় ফিচার বিভাগ নিয়মিত চালু হয় তার হাত ধরেই। জীবদ্দশায় তিনি দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক আজকের কাগজ ও দৈনিক যায়যায়দিনে কর্মরত ছিলেন।
১৯৬৪ সালের এই দিনে (২৫ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সঞ্জীবের অকাল প্রয়াণ ছিল বাংলাদেশের সংগীত ও সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। এই ক্ষণজন্মা কিংবদন্তি না ফেরার দেশে ফেরার সময় স্ত্রী ও একামাত্র সন্তান কিংবদন্তিকে রেখে যান।
এদিকে সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলা কিংবা টিএসসিতে আগেও হয়েছে ‘সঞ্জীব উৎসব’। হচ্ছে এবারও এবং আজই। তবে এবারের আয়োজনটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে সঞ্জীবপ্রিয় মানুষের মনে। এবারই প্রথম এই উৎসব হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত ‘সঞ্জীব চত্বর’-এ।
সাংবাদিকতা এবং সংগীতের এই অকাল প্রাণের নামে টিএসসির সামনের খোলা অংশটিকে ‘সঞ্জীব চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, তার শেষ মৃত্যুবার্ষিকীতে (১৯ নভেম্বর ২০১৬)। এবার সেই চত্বরে প্রথমবারের মতো সঞ্জীব জন্মোৎসব হবে, এমনটাই জানিয়েছেন উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার।
সঞ্জীব স্মরণে ২০১০ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় সঞ্জীব উৎসব। এ আয়োজনের সহযোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
সকলের জন্য উন্মুক্ত এ উৎসব আজ বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
সঞ্জীবের কথা-সুর-কণ্ঠে বিখ্যাত গান ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’
/এমএম/