এ শিল্পী এখন দেশের বাইরে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় থিতু হয়েছেন। কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছেন। অবসর কাটানো ও গানের কিছু কাজ- এটাই মূলত উদ্দেশ্য। তবে মাঝে মধ্যে তাকে দেশের টিভি পর্দায় দেখা যায়। কারণ এমন-
‘আটলান্টায় বসে দেশের টিভি চ্যানেলে বন্ধুদের গান দেখলে আমার খুব মন খারাপ হয়। মাঝেমধ্যে খারাপ লাগাটা খুবই বেশি হয়। তখন নিজেই গান করার চেষ্টা করি। আর এ কারণেই সময় বের করে দেশে এসে বেশ কিছু কনসার্ট করে যাই। টিভিতেও গান করি।’ বললেন রোমেল।
গানের মাঝেই আছেন এ তারকা। কখনও নিজের গান তৈরি কখনও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কনসার্টে তাকে দেখা যায়।
তার মানে এবার ব্যান্ডের বাইরে দ্বৈত গান! এমন কথায় সায় দিলেন রোমেল। বললেন, ‘ফাহমিদা আপা একটি গান পাঠিয়েছেন। আমার সুর ও সংগীত করার কথা। এটি দ্বৈত গান হবে। বেশ রোমান্টিক গান এটা। আশা করছি, শিগগিরই এর কাজ শেষ করতে পারব।’
রোমেল খানের গানের যাত্রা মূলত ৭৭ সালে। তখন সিম্ফনি নামের একটি ব্যান্ড গড়েন। এরপর ৮০ সাল থেকে ফিডব্যাকের সঙ্গে পথচলা। আশির দশকের একেবারে শেষ দিকে ‘রিফ্লেক্স’ নামে একটি ব্যান্ডেও যুক্ত ছিলেন । ১৯৯৫ সালে ‘আনচান করে মনটা’ নামে প্রথম এবং শেষ একক অ্যালবাম বের করেন। এরপরই পারিবারিক কারণে পাড়ি দেন আমেরিকা।
রোমেল খানের কণ্ঠে ফিডব্যাকের ‘দূর থেকে দূরে’:
দেশের প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম তিনি তৈরি করেন ফিডব্যাকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সেসময় ব্যান্ডের সদস্যরা আন্ডারগ্রাউন্ড কনসার্টগুলো করতেন। শেরাটন, মেরি অ্যান্ডারসন, পুরবানী, সাকুরা- হোটেলগুলোতে ছিল তাদের পদচারণা। তখন রোমেলই একমাত্র ব্যান্ডশিল্পী, যিনি নিয়মিত বিটিভিতে গাইতেন। এরপর ফিডব্যাককে অ্যালবাম তৈরির প্রস্তাব দেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠার সারগাম। শুরু হয়ে যায় তখন নিজেদের গান তৈরির কর্মযজ্ঞ।
অনেক কিছুই তো আপনার অর্জন। তাহলে কেন দল ছেড়ে প্রবাসী হলেন- এমন প্রশ্ন স্মৃতিকাতর করে এ গিটারিস্ট-গায়ককে। বললেন, ‘‘আমি মূলত গিয়েছিলাম পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে। এরপর আর সেভাবে ফেরা হয়নি। তবে আমি দেশে না থাকলেও দলের সঙ্গে কিন্তু আছি। দলটাকে ভেতর থেকে এখনও ধারণ করি। কারণে-অকারণে মিস করি। খারাপ লাগে। আবার দলের পুরনো কথাগুলো মনে হলে ভালোও লাগে। দলের জন্যও গান তৈরি করি। এই তো সেদিন ফিডব্যাকের জন্য ‘মেলা’ নিয়ে একটা গান তৈরি করলাম। ‘আইলো রে বৈশাখ, এলো নববর্ষের ডাক’- এমন কথা। হয়তো ফিডব্যাকের হয়ে এটি আমি গাইব বা অন্য কেউ। কিন্তু দূরে থেকেও দলের সঙ্গেই তো আছি। তাই না?’’