একটু থেমে নূরকে তিনি আরও বলেন, ‘শরীর ভালো থাকলে আমি নিজেই যেতাম উনার সঙ্গে দেখা করতে।’
এরপর আসাদুজ্জামান নূর লাকী আখন্দের হাত ধরে বলেন, ‘লাকী ভাই, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনার ম্যাসেজ আমি যত দ্রুত সম্ভব পিএমকে পৌঁছে দেবো। এটা আমি ওয়াদা করছি।’
রাত ন’টার দিকে এমন কথোপকথনের পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারে চিকিৎসাধীন সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ ফের অচেতন হয়ে পড়েন। আর এই তথ্যগুলো বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন ‘শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশন’ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী এরশাদুল হক টিংকু। যিনি লাকী আখন্দকে সারাক্ষণ দেখভাল করছেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে কী কারণে ‘ধন্যবাদ’ জানানোর জন্য লাকী আখন্দ এতটা উদগ্রীব, যখন তিনি লড়াই করছেন নিজের সঙ্গেই। টিংকু জানান, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি লাকী ভাইয়ের সম্মান আর ভালোবাসার কমতি নেই। বিশেষ করে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে যখন ক্যানসার ধরা পড়ে তখন সবার আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসেন। নিয়মিত খোঁজ নেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেন সংশ্লিষ্টদের। লাকী ভাই সেই দিনগুলোর কথা এক ফোটাও ভোলেননি। তখন থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ দেওয়ার কথা বলে আসছিলেন।’’
২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ন’টার দিকে হাসপাতালে লাকী আখন্দকে দেখতে গিয়েছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
লাকীর শরীরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অধ্যাপক নেজামুদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার থেকে তিনি একটু ভালো আছেন। তবে এই বিষয়ে নতুন কোনও চিকিৎসা নেই। চলমান চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যতক্ষণ রোগীর অবস্থা ভালো রাখা সম্ভব।’
এদিকে গুণী এ সংগীতজ্ঞের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও মধ্যরাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক হাসপাতালে ছুটে যান।
/এমএম/