এটি ঘটেছে দেবাশীষ বিশ্বাসের ফেসবুক ফ্যান পেজে। তাও আবার সেটি ফেসবুক কর্তৃক ভ্যারিফায়েড! প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে কি দেবাশীষ বিশ্বাস হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেছেন? তারই অফিশয়াল প্রমাণ এটাই নয় কী? কারণ, ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট কিংবা পেজ তো আর সাধারণত হ্যাক হওয়া সম্ভব নয়।
তবে খটকা লাগলো, ওই ফ্যানপেজে দেবাশীষের ছবি এবং স্ট্যাটাসগুলো স্বাভাবিক মনে হলেও ধর্মান্তর কিংবা নাম বদলের বিষয়ে কোনও পোস্ট দেননি তিনি। কিন্তু কেন?
এসব রহস্যময় ঘটনার তল খুঁজতে মুঠো ফোনে কথা হয় দেবাশীষ বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অস্থিরতার কিছু নেই। আমি এখন শুটিংয়ে ব্যাস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে বলবো।’
কিন্তু এমন কথার ফাঁকেও তো শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে যায়। তবে কী দেবাশীষ জেনে-বুঝেই কাজটি করেছেন? তাই ফের প্রশ্ন, আসলে বিষয়টি কী? এবার একটু বিরক্ত হয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘শুটিংটা শেষ হোক। আমি বিষয়টা একটু আগে জানলাম। কী থেকে কী হলো আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না।’
আপনি কি তাজুল ইসলাম নামের কাউকে চেনেন? বললেন, ‘হুম চিনি। সম্ভবত সেই এই কাজটি করেছে। আমি আসলে বুঝতে পারছি না। এখন শুটিংয়ে আছি। পরে বিষয়টা দেখছি।’
তবে দেবাশীষ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে এটুকু স্পষ্ট হওয়া গেছে, পেজের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি তিনি অবগত নন। আরও স্পষ্ট হয়, তাজুল ইসলাম নামের ব্যক্তিটিকে তিনি চেনেন এবং ওই ব্যক্তিটি সম্ভবত এই পেজটির দেখভাল করেন। ধারণা করা যায়, তাজুল ইসলামের সঙ্গে কোনও ঝামেলার জের ধরেই এই বিব্রতকর ঘটনাটি ঘটেছে।
/এমএম/