জানা গেছে, এবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ১৫টি চিত্রনাট্য নির্বাচিত হয়েছে এল’অ্যাটেলিয়ারে। এর মধ্যে ভিয়েতনামের আছে দুটি। কামার আহমাদ সাইমনের ‘ডে আফটার টুমরো’সহ এসব চিত্রনাট্যকে বিশেষভাবে সম্ভাবনাময় ও আশাব্যঞ্জক মনে করছেন আয়োজকরা।
এ খবর যখন সুদূর কানে ঘোষণা করা হলো, কামার আহমাদ সাইমন তখন কলকাতায় ব্যস্ত।
রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে মুঠোফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন, “আমি এই মুহূর্তে ‘শিকলবাহা’য় (নতুন ছবি) ডুবে আছি, এর প্রযোজনা ও পরিকল্পনা নিয়ে কলকাতায় আছি। এর মধ্যে এই সুখবর, এমনিতেই আমি সময় নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি... কাজটা শেষ করার চাইতে কাজের নেশাটা আমাকে বেশি আসক্ত করে। ছবি নিয়ে চারপাশে এমনিতেই এতো ডামাডোল, এতো আওয়াজ, অস্থিরতা... তাই কানের এই খবর আমাকে কাজে ডুবে থাকতে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।”
এল’অ্যাটেলিয়ারে এবার নতুন নির্মাতাদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের চিত্রনাট্যও স্থান পেয়েছে। এসব নির্মাতারা দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর কানে যাবেন বাংলাদেশ, চীন, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ডেনমার্ক, রোমানিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, ডমিনিকান রিপাবলিক এবং মঙ্গোলিয়া থেকে।
এল’অ্যাটেলিয়ারের আমন্ত্রণ পাওয়ার সুবাদে নিজের নতুন ছবিটির চিত্রায়ন শুরু ও শেষ করার জন্য প্রযোজক ও কার্যকরী অংশীদার পাবেন বলে আশা করছেন ‘শুনতে কি পাও’খ্যাত কামার আহমাদ সাইমন। কারণ এতে অংশগ্রহণকারী নির্মাতারা তাদের ছবির কাজ যেন দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে পারেন, সেজন্য আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনার বাজার নিশ্চিত করা হয়।
কান উৎসবের অংশ হিসেবে ২০০৫ সালে শুরু হয় এল’অ্যাটেলিয়ার কার্যক্রম। গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য নবীন থেকে সুপরিচিত আন্তর্জাতিক নির্মাতাদের ২০০৫ সাল থেকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এই কর্মসূচিতে। এখন পর্যন্ত এতে যুক্ত করা হয়েছে ১৮৬টি চিত্রনাট্য। এর মধ্যে ১৪৫টির কাজ সম্পন্ন। বাকিগুলোর মধ্যে এখন ১৪টি প্রি-প্রোডাকশন পর্যায়ে আছে।
/জেএইচ/এমএম/