উত্তাল সাগর। নীল রঙের ঢেউগুলো গর্জন তুলে সৈকতে এসে থামছে। কানসৈকতে সারি সারি রেস্তোরাঁ। সবই দামি। এরই একটি প্লাজ রয়েল। শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে রেস্তোরাঁটির সামনে যেতেই চোখে পড়লো উল্টো পাশে বসে আছেন পরিচালক নাসিরউদ্দীন ইউসুফ ও আবু সাইয়ীদ এবং চলচ্চিত্র সংগঠক আহমেদ মুজতবা জামাল। দেখেই কুশল বিনিময় করলেন।
এক পাশে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ইনিশিয়েটিভ অব বাংলাদেশের (আইএফআইবি) কর্মী প্রমা বাংলাদেশি গামছা, সংগঠনটির ব্যাজ ও কাজী অ্যান্ড কাজীর টি-ব্যাগ টেবিলে সাজিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ভিনদেশি অতিথিরা এলে তাদের উপহার দেওয়া হচ্ছে এগুলো।
কিছুক্ষণের মধ্যে হাজির হলেন আইএফআইবি সভাপতি সামিয়া জামান। আগে থেকেই রেস্তোরাঁয় ছিলেন ‘ঢাকা টু কান’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কানের মার্শে দ্যু ফিল্মের (ফিল্ম কেনাবেচার বাজার) প্রডিউচার্স ওয়ার্কশপে অংশ নেওয়া তরুণ নির্মাতা আবিদ মল্লিক ও লুবনা শারমিন।
এরপর একে একে এলেন ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান, ‘শুনতে কি পাও’খ্যাত নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন ও তার স্ত্রী প্রযোজক সারা আফরীন। তাদের সুবাদে যেদিকে তাকাই বাংলাদেশি!
শুভকামনা জানাতে এলেন ভারতের বাঙালি অভিনেত্রী অপর্ণা সেন এবং ভারতীয় নারী নির্মাতা গুরিন্দর চাধা। অপর্ণা সেনকে বাংলাদেশের কে না চেনে! আর গুরিন্দর চাধা হলেন ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম’ ও ঐশ্বরিয়া রাই অভিনীত ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ ছবির পরিচালক। খানাপিনার ফাঁকে চলছিল আড্ডা। বাংলাদেশকে নিয়ে বিদেশিদের মধ্যে আগ্রহ দেখে মন ভরে গেলো।
পার্টির মাঝামাঝি শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইএফটিএ সভাপতি মার্কো ওরসিনি। মোনাকোভিত্তিক অলাভজনক সংগঠনটির সম্পর্কে ধারণা দেন তিনি। এরপর মাইক্রোফোন তুলে দেন সামিয়া জামানের হাতে। ‘ঢাকা টু কান’ কার্যক্রমটি বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতাদের জন্য সহায়ক হবে এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এরপর সামিয়া জামান একে একে ডাকেন পার্টিতে উপস্থিত সব বাংলাদেশিকে। একফ্রেমে বন্দি হন সবাই। সাগরপাড়ের এই কর্নারকে তখন মনে হচ্ছিল এক টুকরো বাংলাদেশ!
/জেএইচ/এমএম/