বন্দুক নিয়ে ঘোড়ায় ছুটে চলা ছিল তার শৈশবের স্বপ্ন

কিন্টসাংবাদিকদের দীর্ঘ লাইন। তাদের কেউই হয়তো আর ভেতরে আসার সুযোগ পাচ্ছেন না! কারণ পালে দো ফেস্টিভাল ভবনের সাল বুনুয়েলে রবিবার (২১ মে) কোনও আসনই আর ফাঁকা নেই। এত মানুষের উপস্থিতি সাধারণত নির্বাচিত ছবির প্রদর্শনী শুরুর প্রাক্কালে দেখা যায়। কিন্তু ওইদিন বিকালে এখানে ছিল শুধুই আড্ডা।

তাতেই এত ভিড়! হবেই বা না কেন, আড্ডা যে দেবেন বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ক্লিন্ট ইস্টউড। কান উৎসবের ৭০তম আসরের মাস্টারক্লাসে অংশ নিয়েছেন তিনি।
বন্দুকে গুলি ভরে ঘোড়ায় চড়ার স্বপ্ন ছিল শৈশবের। সেই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন ক্লিন্ট ইস্টউড। ৩০ ও ৪০-এর দশকে ওয়েস্টার্ন অঞ্চলে অন্য আমেরিকান বালকদের মতোই বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। সেখান থেকে কীভাবে রূপালি পর্দার তারকা ও প্রখ্যাত পরিচালক হয়ে উঠলেন, সেটাই ৮৬ বছর বয়সী এই জীবন্ত কিংবদন্তি তুলে ধরেন মাস্টারক্লাসে।
ষাটের দশকে সার্গিও লিওনির ‘ডলার ট্রিলজি’র ছবি ‘ম্যান উইথ নো নেম’-এ নিয়ম ভাঙা পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে দর্শক দেখেছে ক্লিন্ট ইস্টউডকে। ১৯৭১ সালে ‘ডার্টি হ্যারি’ ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন এমনই একজন পুলিশের ভূমিকায়। বর্তমান সময় নিয়ে হতাশার সুরে তার মুখ থেকে শোনা গেলো, ‘আমাদের রসবোধ যেন কোথায় হারিয়ে গেছে!’
কন্ট ইস্টউডউৎসবের কান ক্ল্যাসিকস বিভাগে দেখানো হয়েছে ক্লিন্ট ইস্টউডের ‘আনফরগিভেন’। মুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজকদের এই উদ্যোগ। ওয়েস্টার্ন ধাঁচের ছবি বানানো প্রসঙ্গে রবিবারের মাস্টারক্লাসে তিনি বলেন, ‘কাজটা আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল বলে বানিয়েছি। সেই সময়ে এটা সাহসেরও ব্যাপার ছিল। বানানোর কারণও এই একটাই। কারণ লম্বা নলের বন্দুক নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে ছুটে চলবো, এটাই যে ছিল আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন।’
/জেএইচ/এমএম/