বাধা নেই ক্ষমতা হস্তান্তরে, রমিজের বিরুদ্ধে মামলা

রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রসদ্য নির্বাচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির ক্ষমতা হস্তান্তরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মিথ্যা অভিযোগের দায়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য রমিজ উদ্দিন নিজেই এবার ফেঁসে যাচ্ছেন! বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মনতাজুর রহমান আকবর।

নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানজানা গেছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল স্থগিত চেয়ে ১১ মে ঢাকার দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে একটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি করেছিলেন ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেলের প্রার্থী রমিজ উদ্দিন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নতুন কমিটির শপথ গ্রহণের ঠিক আগের দিন ক্ষমতা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছিলেন আদালত।

তবে মঙ্গলবার (২৩ মে) জানা গেল চাঞ্চল্যকর খবর। সূত্র বলছে, জাল কাগজপত্র দিয়ে আদালতে এ অভিযোগ করেছিলেন রমিজ উদ্দিন।

‘রমিজ উদ্দিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন’— উচ্চ আদালতের কাছে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় ২০ মে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করা হয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায়। শিল্পী সমিতির হিসাব বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নাজমুল হুদা মিন্টু এই মামলা করেন।

রমিজ উদ্দিনের করা নকল রসিদতিনি এজাহারে উল্লেখ করেন যে, আদালতে প্রদত্ত শিল্পী সমিতির টাকা গ্রহণের রশিদের কাগজটি ভুয়া ছিল। রমিজ উদ্দিন এতে টাকা আদায়কারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নাজমুল হুদা মিন্টুর স্বাক্ষর জাল করেছেন। টাকা আদায়ের রশিদ বইয়ে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পাতার ক্রমিক নম্বর ১৮৭৩। কিন্তু ফল বাতিলের আবেদনে রমিজ ব্যবহার করেছেন ১৮৭৪ নম্বর পাতাটি। অন্যদিকে ৭ মে ফল বাতিল চেয়ে রমিজ আপিল বোর্ড বরাবর যে আবেদন করেছিলেন, সেখানেও তিনি স্বাক্ষর জাল করেছেন।       

এমন নাটকীয় ঘটনা প্রসঙ্গে মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, ‘আদালত থেকে আমাদের জানানো হয়েছে শিল্পী সমিতির ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি খারিজ করা হয়েছে। আর রমিজ উদ্দিনের প্রতারণার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’

/এস/এমএম/