কান উৎসবে পার্থ বড়ুয়া!

পরিচালক জসিম উদ্দিন আহমেদ ও সংগীত পরিচালক পার্থ বড়ুয়াদক্ষিণ ফ্রান্সের সাগরপাড়ের শহর কানে এসেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়া। উৎসবের শর্ট ফিল্ম কর্নারে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে স্বল্পর্দৈঘ্য ছবি ‘দাগ’। এর আবহ সংগীত করেছেন তিনি। এজন্যই তার আসা।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে ‘দাগ’-এর পরিচালক জসিম উদ্দিন আহমেদ ও পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গে আড্ডা হলো শর্ট ফিল্ম কর্নারে।
পার্থ বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, এবারই প্রথম কোনও স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির কাজ করলেন তিনি। সব ধরনের চলচ্চিত্রে এটাই তার প্রথম আবহ সংগীত করা।
কাজটি করা প্রসঙ্গে পার্থ বড়ুয়া বললেন, ‘পরিচালক জসিমের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ২০ বছরেরও বেশি সময়ের। তার কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর জানালাম, এটা আমাকে দিয়ে হবে না! পরে ছবিটা দেখার পর কিছুক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম। কারণ ১৯৭১ নিয়ে মাত্র ১৩ মিনিটে একটা গল্প বলা যেতে পারে, এ ছবি না দেখলে বোঝা হতো না আমার। তাই কাজটি করলাম। এবং সেই কাজের সুবাদেই প্রথম কান উৎসবে এলাম।’
শেষ দৃশ্যের আবহ সংগীত তৈরি প্রসঙ্গে পার্থ বড়ুয়া বললেন, ‘এখানে অর্কেস্ট্রার আবহ সাজিয়েছি। এর মধ্যে আছে নূপুরের শব্দও। কারণ নূপুর মেয়েদের অন্যতম অনুষঙ্গ।’
‘দাগ’-এর মূল বক্তব্য হলো, যে ধর্ষণ করে সে সবসময়ই ধর্ষক। ১৯৭১ সালে এক রাজাকার ধর্ষণ করে এক তরুণীকে। ১৯৭৯ সালে ওই মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তখন ওই রাজাকার আঙুল ফুলে কলাগাছ! বিয়ের রাতে তার হাতে আবার ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। এবার সে রাজাকারকে খুন করে। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, শারমিন জোহা শশী ও বাকার বকুল।
ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক জসিম বললেন, ‘মূল বিষয়বস্তু ধর্ষণ হলেও এখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাজাকারদের রাতারাতি ধনী হয়ে ওঠা, তৎকালীন ঢাকার পারিপার্শ্বিক চিত্র, সবকিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কানের শর্ট ফিল্ম কর্নারে ছবিটি দেখেছেন এমন অনেকের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। আর ব্যক্তিগতভাবে উৎসবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ব চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান ফিল্ম প্রফেশনালদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে আমার। এগুলো আগামীতে কাজে লাগাতে পারবো আশা করি।’
কানসৈকতে উৎসবের শেষ দিন (২৮ মে) পর্যন্ত থাকবেন বলে জানালেন পার্থ বড়ুয়া। এই কয়েক দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছবি দেখার ইচ্ছা আছে তার। কানে আসার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বললেন, ‘এখানে সবার জন্য অবারিত সুযোগ আছে। আমাদের দেশের তরুণরা তাদের ছবি নিয়ে নিয়মিত এখানে এলে একদিন হয়তো আমরা প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নিতে পারবো। আমি এ নিয়ে বেশ আশাবাদী।’
/জেএইচ/এমএম/