এত এত ম্যাগাজিন। তার ওপর বেশিরভাগই কম করে হলেও ১০০ পাতার! গ্লসি পেপারের। সব তো আর সঙ্গে রাখা যায় না। এমনিতেই ল্যাপটপ, প্রতিদিনের প্রদর্শনীর সময়সূচি, মোবাইল-চার্জারসহ ব্যাগের ওজন কম না।
উৎসবের মূলকেন্দ্রে ঢুকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলে মার্শে দ্যু ফিল্ম। ওখানেই শর্ট ফিল্ম কর্নার। এসকেলেটরের উপর উঠলে প্রেস রুম একদিকে। উল্টো পাশে বিনামূল্যে কফি পানের জায়গা। দোতলা থেকে তিনতলায় এসকেলেটরেও যাওয়া যায়। আছে সিঁড়িও। দোতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত এদিক-ওদিক সবখানে বিছানো আছে লালগালিচা। গত দু’বার এসে এটা দেখিনি।
ফলে কানে এসে শুধু সিনেমা কিংবা সমুদ্র শহরের রূপ দেখাই নয়, লেখালেখি কিংবা সাংবাদিকতার জন্যেও তীর্থস্থান এটি।
ছাদ থেকে বের হয়ে সোজা হাঁটলে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সোনালি স্থিরচিত্র চোখে পড়ে। এই জায়গার নাম দেওয়া হয়েছে ‘টোয়েন্টি ফোর ফ্রেমস’। উৎসবের তিন কাণ্ডারী পিয়েরে লেসকিউ, গিলেস ইয়াকব ও থিয়েরি ফ্রেমোর চোখে গত ৬৯ বছরের মাইলফলক মুহূর্তগুলোর ছবির প্রদর্শনী হচ্ছে এখানে।
উৎসবের ম্যানেজার ফেব্রিস অ্যালার্ডের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় জানতে পেরেছি, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরাই কান উৎসবের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম চাবিকাঠি। আয়োজকদের অ্যাক্রেডিটেশন (ব্যাজ বা পরিচয়পত্র) পেয়েছেন এবার মোট ৪৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদকর্মীই আছেন সাড়ে চার হাজার।
সাংবাদিক ছাড়াও কানের ফিল্ম বাজারে প্রতিবারের মতো এবারও অংশ নিচ্ছেন ১২ হাজার ব্যক্তি। পালে দো ফেস্টিভাল ভবনের অভ্যন্তরে এবং সাগরপাড়ের কিছু অংশে এই বাজার বসেছে। উৎসব চলাকালে দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর কানে জনসংখ্যা ৭৪ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখে। তাই কান এখন সরগরম!
ছবি: আহামেদ ফরিদ
চলবে...
/জেএইচ/এমএম/