যে কারণে পুরস্কারের নাম স্বর্ণপাম

স্বর্ণপামদক্ষিণ ফ্রান্সের সমুদ্রতীরবর্তী শহর কানে অসংখ্য পামগাছ। এটাই এই শহরের নিদর্শন। এই পাম গাছের চিরল পাতার মতোই দেখতে কান উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার। তাই এর নাম স্বর্ণপাম। ফরাসি ভাষায় এর নাম পাম দ’র।

১৯৪৬ সালে কান উৎসব শুরু হলেও প্রথমদিকে শুধু একটি সনদপত্র আর গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার দেওয়া হতো। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত এসবের পাশাপাশি ছিলো একটি শিল্পীর অটোগ্রাফ-সহ চিত্রকর্ম। ১৯৫৫ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে স্বর্ণপাম। এটি জেতে ডেলবার্ট মান পরিচালিত মার্কিন ছবি ‘মার্টি’।
তবে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত আবার ফিরে যাওয়া হয় গ্রাঁ প্রিঁ দেওয়ার রীতিতে। ১৯৭৫ সালে ফের চালু হয় স্বর্ণপাম। এরপর থেকে এখনও এটাই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১৯৭৭ সাল থেকে সুইস অলঙ্কার প্রতিষ্ঠান চপার্ড স্বর্ণপাম বানানোর দায়িত্ব পালন করে আসছে। তবে ১৮ ক্যারেট সোনায় তৈরি ২০ হাজার ইউরো মূল্যের ট্রফিটি নির্মাণের জন্য কোনও অর্থ নেয় না চপার্ড। এর ওজন ১১৮ গ্রাম। ১ কিলোগ্রাম হীরার স্বচ্ছ কাচও জুড়ে দেওয়া হয় এতে। এই কাচ আনা হয় জার্মানি থেকে। এটি বানাতে সাতজন কর্মীর সময় লাগে ৪০ ঘণ্টা।
স্বর্ণপাম পুরস্কার তৈরি হয়ে গেলেও নিরাপত্তার কথা ভেবে অলঙ্কার প্রতিষ্ঠান চপার্ডের সিন্দুকে গোপনীয়তার সঙ্গে এটি রাখা হয়। পুরস্কার বিতরণীর ঠিক এক মিনিট আগে তা হাতে পান আয়োজকরা।
এ পর্যন্ত ৫৫বার দেওয়া হয়েছে স্বর্ণপাম। এর মধ্যে পাঁচবার যৌথভাবে দুটি ছবি এই পুরস্কার ভাগাভাগি করেছে। দুটি ছবি একই সঙ্গে স্বর্ণপাম জেতার সম্ভাবনা থেকে কিংবা যে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রস্তুতি হিসেবে অতিরিক্ত পুরস্কার বানিয়ে রেখে দেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে কোনও দিন-তারিখ উল্লেখ থাকে না।
কান উৎসবের ৭০তম আসরে স্বর্ণপাম জিতবে কোন ছবি, ফয়সালা হবে রবিবার (২৮ মে) সমাপনীতে। অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টা)।
/জেএইচ/এমএম/