৫৬ বছর পর ইতিহাস গড়লেন সোফিয়া

সোফিয়া কপোলাসেই ১৯৬১ সালে ‘ক্রনিকল অব ফ্লেমিং ইয়ারস’ ছবির জন্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউলিয়া ইপোলিতোভনা সোন্তসাভা। এরপর আর কোনও নারী নির্মাতার এ অর্জন দেখা যায়নি।

৫৬ বছর পর কানে দ্বিতীয় নারী নির্মাতা হিসেবে সেরা পরিচালক হয়ে ইতিহাস গড়লেন সোফিয়া কপোলা। ‘দ্য বিগাইল্ড’ ছবির সুবাদে এ স্বীকৃতি পেলেন তিনি। এটি হলো ১৯৭১ সালে নির্মিত ডন সিজেলের একই নামের একটি ছবির রিমেক।

সোফিয়ার পুরস্কার গ্রহন করতে মঞ্চে (বাঁ থেকে) গ্যাব্রিয়েল জারেদ, ফ্যান বিংবিং ও মারেদ আদে।রবিবার (২৮ মে) রাতে পালে দো ফেস্টিভাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে প্রতিযোগিতা বিভাগের দুই বিচারক চীনা অভিনেত্রী ফ্যান বিংবিং ও ফরাসি সুরস্রষ্টা গ্যাব্রিয়েল জারেদ সেরা পরিচালক হিসেবে সোফিয়ার নাম ঘোষণা করেন। তবে কান উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিলেন না তিনি। লিখে পাঠানো তার অনুভূতি পড়ে শোনান আরেক বিচারক মারেন আদে।
৪৬ বছর আগে ‘দ্য বিগাইল্ড’ ছবিতে দেখানো হয়েছিল, এক আহত সৈন্য মেয়েদের স্কুলে আশ্রয় নেয়। তবে রিমেকে নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে গল্পটি বলেছেন সোফিয়া। ‘দ্য বিগাইল্ড’কে বলা হচ্ছে মার্কিন এই নির্মাতার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা নারীবাদী কাজ।
‘দ্য বিগাইল্ড’ ছবির অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে সোফিয়া (ডান থেকে ৩য়)কানের ৭০তম আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ১৯টি ছবির মধ্যে তিনটি পরিচালনা করেছেন নারীরা। ‘দ্য বিগাইল্ড’ সেগুলোর একটি। এতে অভিনয় করেছেন নিকোল কিডম্যান, কার্স্টেন ডান্স, এলে ফ্যানিং। আহত সৈন্যর ভূমিকায় দেখা গেছে কলিন ফেরেলকে।
সোফিয়া কপোলা হলেন দু’বার স্বর্ণপাম জয়ী পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার মেয়ে। বাবার পথ ধরে ৪৬ বছর বয়সী এই নির্মাতাও এগিয়ে চলেছেন। হয়তো একদিন স্বর্ণপামও ধরা দেবে তার হাতে।
প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন একমাত্র নারী নির্মাতা যিনি স্বর্ণপাম জিতেছেন। ১৯৯৩ সালে ‘দ্য পিয়ানো’ তাকে এনে দেয় সিনেমার বৈশ্বিক আসরের এই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি।
‘দ্য বিগাইল্ড’ ছবির অভিনয়শিল্পীরা/জেএইচ/এমএম/