দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা দ্রুত তাকে পার্শ্ববর্তী স্যামিতিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ১১ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার হয় সুমনের শরীরে।
বিষয়টি জানার পর ফেসবুক কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় সুমনের সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘আসলে আমি চেকআপের জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলাম। স্যামিতিভেজ হাসপাতালেই সেদিন ছোট একটা অস্ত্রোপচার হয়। শুধু ঘণ্টা খানেকের বিষয় ছিল। এরপর আমি বিশ্রাম নিয়ে হোটেলে ফিরছিলাম। এরমধ্যেই গলির ভেতর দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি মাক্রোবাস আমাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। একজন মহিলা নাকি ওটা চালাচ্ছিলেন। আমি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে যাই।’
সুমন পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছার পর আমার এক পরিচিত চিকিৎসক যখন জানতে পারেন, তিনি ছুটে আসেন। তিনিই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধ করে অস্ত্রোপচার শুরুর নির্দেশ দেন। টানা ১১ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চলে আমার শরীরে। এরপর আমার জ্ঞান ফেরে। ভাগ্য ভালো আমার মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। কারণ ওটাতে তিনটি ধাতব পাত লাগানো। এটা হলে অবস্থা অবর্ণনীয় হতো।’
সুমন আরও বলেন, ‘বিষয়টি তখন আমি আমার পরিবারকেও জানাইনি। কারণ আমার সন্তানেরা তখন ইউরোপ ট্যুরে আছে। তারা টেনশন করে ব্যাংককে চলে আসত। ঈদের পর জানিয়েছি।’
সুমন মূলত ক্যানসারের রোগী। ২০১২ সালের দিকে তার মেরুদণ্ডে প্রথম ক্যানসার হয়েছিল। এরপর মস্তিষ্ক, গলা, পাকস্থলী আর কিডনিতেও ছড়িয়ে যায়। সর্বশেষ পাকস্থলীতে মারাত্মক সংক্রমিত হওয়ায় চিকিৎসকরা সেটি শরীর থেকে বাদ দিয়েছেন।
/এম/এমএম/