ফিরে গেলেন শাবনূর, করলেন আত্মসমালোচনা!

অভিনেত্রী শাবানার মতো শাবনূরকেও বহুদিন পর বড় কোনও অনুষ্ঠানে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অসংখ্য দর্শক-সমালোচক। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে শাবানার কান্না, আবেগঘন বক্তব্য আর আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তির বিষয়টি মুগ্ধতা ছড়ালেও শাবনূরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি কোথাও!

শাবনূর। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।কারণ, চলচ্চিত্রবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‌‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫’ অনুষ্ঠানের মূল ফটক থেকে ফিরে যেতে হয়েছে জনপ্রিয় এই নায়িকাকে!
অনুষ্ঠানস্থলে দেরিতে উপস্থিত হওয়াতে তার প্রবেশে বাধা দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবেশের পর শাবনূর সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তাই নিরাপত্তারক্ষীরা আর প্রবেশ করতে দেননি। জাতীয় এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি গতকাল (২৪ জুলাই) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে শাবনূরের দেরিতে পৌঁছার কারণ ছিল যানজট। শুধু শাবনূরই নন, একই কারণে পরিচালক রওশন আরা নিপাসহ অনেক শিল্পী-কলাকুশলী-সাংবাদিকরাও নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
আর নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর কোনও অতিথিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
তবে শাবনূর নিজেই নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উপস্থিত একাধিক অতিথি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শাবনূর সেখানে বলেন, ‘আসলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাই সবার আগে। এটাই হওয়া উচিত। রাস্তায় যানজট থাকায় দেরি হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর আগেই আমাদের পৌঁছানো উচিত ছিল। আমরা তো উনার চেয়ে গুরুত্মপূর্ণ কিংবা ব্যস্ত নই।’
এরপর তিনি এবং আরও কয়েকজন আমন্ত্রিত অতিথি অনুষ্ঠানস্থল দ্রুত ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪টায় এ পুরস্কার আসর শুরু হয়। এবার আজীবন সম্মাননা যৌথভাবে পান অভিনেত্রী শাবানা ও সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান।
আসরে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কারসহ সর্বাধিক ৯টি বিভাগ জয়লাভ করেছে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৫টি বিভাগে শিল্পী ও কলাকুশলীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
/এমআই/এমএম/