সারাহ বেগম কবরী
ভীষণ দুঃখ ভারাক্রান্ত। পরে একসময় কথা বলব। খবরটা শুনলাম মাত্র। এখন প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মতো অবস্থাতে নেই। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
আমজাদ হোসেন
মনটা খারাপ। আমার ধারণা গোটা বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা একইরকম। এমন মানুষ যখন চলে যায় তখন সবারই শোকাহত হওয়ার কথা। আমরা সবাই শোকাহত। আমরা ইউনাইটেডে যাচ্ছে। উনার পরিবারের সাথে কথা বলে পরে আবার জানাব।
কয়েকদিন আগে রাজ্জাক ভাইকে ফোন করে বাসায় আসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। ওইসময় তার থাইল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। জানিয়েছিলেন, ফিরে বাসায় আসবেন। ইচ্ছা ছিল তাকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবো। কিন্তু সেই সৌভাগ্য আর আমার হলো না। রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে হাজারও স্মৃতি। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে কত ছবিতেই তো অভিনয় করেছি। তিনি শুধু সহ-অভিনেতাই ছিলেন না, ছিলেন আমার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিক্ষক-অভিভাবক। আমার মতো আরও অনেক শিল্পীরই তিনি অভিভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুতে গোটা চলচ্চিত্র পরিবার অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়লাম।
দুই দিন আগেও কথা হয়েছে বাপ্পারাজের সঙ্গে। আজ সকালের উনার এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আর সন্ধ্যাতেই তার চলে যাওয়ার খবর— বিশ্বাসই করতে পারছি না। বারবারই মনে হচ্ছে, মাথার ওপর থেকে একটা বটগাছ সরে গেল। তার মৃত্যুকে আমি বাকরুদ্ধ। এ ক্ষতি অপূরণীয়।
ওমর সানী
কিছুতেই কান্না থামাতে পারছি না। তিনি তো কেবল একজন অভিনেতা বা নায়করাজই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমার পিতার মতো। তার আদর্শকেই জীবনের পাথেয় হিসেবে নিয়েছি। আমার সৌভাগ্য যে তার মতো একজন অভিনেতাকে পেয়েছিলাম পাশে।
তার কাছে যে স্নেহ আমি পেয়ে এসেছি, তাতে তিনি আমার পিতার স্থানেই আসীন ছিলেন। কেবল আমিই নই, সবাইই তার কাছে এমন স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছে। প্রত্যেককে তিনি শিল্পীর মর্যাদা দিতেন। আমাদের চলচ্চিত্র তার অবদানে যেভাবে সমৃদ্ধ, তাতে তার অনুপস্থিতি এই অঙ্গনে গভীর শূন্যতা তৈরি করবে। আর নিজের অভিনয় দিয়েই তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন এই দেশের মানুষের মাঝে।
আমরা একজন অভিভাবক হরালাম। উনি অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সবসময় খোঁজখবর নিতাম। কিন্তু আজ তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই। তিনি আমাকেও ব্যক্তিগতভাবে খুব পছন্দ করতেন। তাকে হারানোর বেদনা এত সহজে মুছবে না।
নায়করাজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম