নায়করাজের দাফন সম্পন্ন

রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ননায়করাজ রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বাবাকে শেষ বিদায় জানাতে আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কানাডা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান বাপ্পী। এরপরই নায়করাজের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ সময় চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জল, ফেরদৌস, শাকিব খানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিএফডিসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে গুলশান আজাদ মসজিদে শেষ জানাজার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা নাগাদ বনানী কবরস্থানে দাফন করার কথা ছিল নায়করাজ রাজ্জাকের মরদেহ। সকাল থেকে সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এগিয়েছে। তবে বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। জানানো হয়, বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এই কিংবদন্তির। কারণ বাপ্পী অবশেষে ঢাকায় আসছেন।বাপ্পারাজ ও বাপ্পি

প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্জাক। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে এফডিসিই ছিল রাজ্জাকের কর্মস্থল। সত্তরের দশকে এখানকার ফ্লোরগুলো চাঙা থাকতো তার সুবাদেই। নায়করাজের সিনেমার শুটিং হলো জমজমাট হতো ফ্লোরগুলো। দিনে দিনে ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘পিচঢালা পথ’ পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশীয় চলচ্চিত্রের ‘রংবাজ’।কবরে শায়িত নায়করাজ

সারাজীবন চলচ্চিত্র নিয়েই থেকেছেন রাজ্জাক। অভিনয়ের পাশাপাশি এফডিসি তাকে পেয়েছে পরিচালক-প্রযোজক হিসেবেও। ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বদনাম’, ‘অভিযান’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘প্রফেসর’, ‘যোগাযোগ’, ‘সৎ ভাই’ পরিচালনা করে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তার প্রযোজনা সংস্থা রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে তিনি উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নির্মাণ করেছিলেন।শেষ বিদায় জানাতে গিয়েছিলেন শাকিব খান, ফেরদৌস, জায়েদ খানসহ অনেকে