‘জব্বার ভাই আমাদের একা করে চলে গেলেন’

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতিশল্পী আবদুল জব্বার এখন স্মৃতি। তার প্রয়াণে দেশীয় সংগীতাঙ্গন এখন শোকে মুহ্যমান। দেশাত্মবোধক গানের জন্য চিরস্মরণীয় এই গায়ককে ভিন্ন উচ্চতায় দেখতেন তার সহকর্মীরা। বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজধানীর ইস্কাটনে নর্থ রোডে ছুটে যান বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে খুরশীদ আলম, কনকচাঁপা ও এন্ড্রু কিশোর কথা বলেছেন আবদুল জব্বারের নাম শ্রদ্ধা জানিয়ে


(বাঁ থেকে) এন্ড্রু কিশোর, খুরশীদ আলম ও কনকচাঁপা (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

খুরশীদ আলম

কোনও সন্দেহ নেই, আবদুল জব্বার বাংলাদেশের একজন বড়মাপের শিল্পী। আমার মনে হয় তিনি ছিলেন বটবৃক্ষ। আমরা একজন বটবৃক্ষকে হারালাম। তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। তিনি আমাকে একবার টাঙ্গাইলের করটিয়া কলেজে ১০-১৫ হাজার দর্শকের সামনে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেদিনের কথা কখনও ভুলবো না। তার কাছে আজীবন ঋণী হয়ে থাকবো এই একটি কারণে। 

এন্ড্রু কিশোর
জব্বার ভাই আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। আমরা একা হয়ে গেলাম। সত্যিকার অর্থেই তিনি ছিলেন একজন মহান শিল্পী। এমন শিল্পী তৈরি করা যায় না। তারা আপনাআপনি চলে আসেন। সংগীতশিল্পী হিসেবে তার বড় অবদান বলবো মুক্তিযুদ্ধের সময়। ১৯৭১ সালে তার গান শুনে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রণাঙ্গনে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন আমাদের অন্তরে।

কনকচাঁপা
আমার গুরু বশির আহমেদের মাধ্যমে আবদুল জব্বার সাহেবের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল। কেন জানি শুরুতেই খুব ভয় পেয়েছিলাম তাকে! তবে তার সঙ্গে কথা বলার পর ধীরে ধীরে সেটা কেটে গেছে। একদিন তিনি আমাকে ডেকে বলেছিলেন, আমার কণ্ঠ খুব ভালো। তার প্রশংসা শুনে ভীষণ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে তার কণ্ঠ আমাদের উজ্জীবীত করে। তিনি শ্রোতাদের কাছে অম্লান হয়ে থাকবেন।