শাকিব খান দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন: জায়েদ

সমিতির কার্যালয়ে জায়েদ, সানী ও শাকিব। ছবি- সংগৃহীতবাংলাদশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গত নির্বাচনকে ঘিরেই দ্বন্দ্বের শুরু হয়। নির্বাচনের দিন (৫ মে) রাতে অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে সে দ্বন্দ্বের উত্তাপ ছড়াতে থাকে। দিন যত গড়িয়েছে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে শাকিব খানের দূরুত্ব তত বেড়েছে।
তবে দ্বন্দ্বের ইতি ঘটার ইঙ্গিত এসেছিল আগস্ট মাসেই। নায়করাজ রাজ্জাকের চিরবিদায়ের দিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলেন শাকিব ও জায়েদ। আর উদ্যোগটা ছিল বাপ্পারাজের। এবার জায়েদ নিজ উদ্যোগে শাকিবের কাছে গেলেন।

বিএফডিসিতে আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘আমি নেতা হব’ ছবির শুটিং করবেন শাকিব- এ খবর পেয়ে শুটিং ফ্লোরে ছুটে যান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। ভুল বোঝাবুঝির অবসানের অনুরোধ করেন শাকিব খানকে। তিনি শাকিব আর ওমর সানীকে সঙ্গে করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়েও নিয়ে আসেন।
বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‌‘শাকিব খান সমিতির কার্যালয়ে এসেছেন- এটি বিশেষ ঘটনা নয়। কারণ তিনি দীর্ঘদিন এ সমিতির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলেই আমি মনে করি। শাকিব ভাই সমিতির সামনের ফ্লোরেই কাজ করছিলেন। তাই আমি সম্মান জানাতেই সেখানে যাই। আর তাকে সমিতিতে আসতে বলি।’
আগে সমিতির সঙ্গে শাকিব খানের কোনও দ্বন্দ্ব ছিল বলে তিনি মনে করেন না। শিল্পীদের সঙ্গে শিল্পীর কোনও দ্বন্দ্ব থাকতে পারে না- এটা তার ভাষ্য।
জায়েদ আরও জানান, সমিতির সাবেক সভাপতি শাকিব খানকে সংগঠনটির উপদেষ্টা করার ইচ্ছে তার। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পরে হবে।
আর শাকিব খান সম্পর্কে জায়েদ বলেন, ‘কার্যালয়ে শাকিব ভাই অনেক কথাই বলেছেন। তিনি দেশের বাইরে নিজ দেশকে তুলে ধরেন। কথা প্রসঙ্গে আমি তখন বলেছি, অবশ্যই তিনি দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেন। দেশের বাইরে কাজ করাটা দেশকে প্রেজেন্ট করাই। তবে নিয়ম মেনে সব শিল্পীর কাজ করা উচিত।’