গ্রীক ভাষায় ‘জেনোস’ শব্দের অর্থ বিদেশি অথবা আগন্তুক কিংবা অপরিচিত। এটি মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রণাঙ্গনে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি তার শ্রদ্ধাঞ্জলি। গল্পে প্রাধান্য পাবে ভারতীয় সৈন্যের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি উঠে আসবে সমকালীন রাজনৈতিক ইস্যু।
আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) লন্ডনে ভারতীয় শাস্ত্রীয়সংগীতের বার্ষিক আয়োজন দরবার উৎসবের উদ্বোধনী রাতে ‘জেনোস’-এর একটি নাচের সেগমেন্ট পরিবেশন করবেন আকরাম খান।
আগামী বছর গ্রিসের অ্যাথেন্সে প্রযোজনাটির পূর্ণাঙ্গ প্রিমিয়ার হবে। এরপর কাজটি নিয়ে আকরাম খান যাবেন অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ২০১৮ সালে লন্ডনে ওয়েলস থিয়েটারেও এর একটি প্রদর্শনী হবে।
‘জেনোস’-এ জেনোফোবিয়ার (বিদেশিদের নিয়ে অহেতুক ভয়) প্রবণতাকে তুলে ধরেছেন বলে জানান আকরাম খান। রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি ও জেনোফোবিয়া কিভাবে বাড়ছে সেসবের সঙ্গে আমার এই প্রতিচ্ছবি উপযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক।’
লন্ডনে জন্ম নেওয়া আকরাম খানের মা-বাবা বাংলাদেশি। ২০০৫ সালে নাচে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের এমবিই খেতাবে ভূষিত হন তিনি। ভারতীয় শাস্ত্রীয়, কত্থক ও সমকালীন নাচের সম্মিলন থাকে তার নৃত্যশৈলীতে।
‘জেনোস’-এর পর পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনায় মূল পারফর্মার হিসেবে আর নাচবেন না বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন আকরাম খান। তবে ছোট ছোট পরিবেশনায় অংশ নেবেন মাঝে মধ্যে। কারণ এবার অন্যদিকে গুরুত্ব দিতে চান তিনি।
আকরাম খানের প্রযোজনাগুলো বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। এর মধ্যে ২০০৮ সালে মঞ্চে আসে ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশের সঙ্গে তার ‘ইন-আই’। এর পরের বছর তারা এটি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন।