বইটির নাম ‘বাসর’। আমি জানতাম না তিনি এ কাণ্ডটি করেছেন। আমি অনেকদিন পর আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়েছি। তখন দেখি লোকে এ কথাটি বলছে। এরপর একটি মেয়ে উৎসর্গপত্রের পাশে কমেন্ট লিখে আমার কাছে আনে। সাধারণত লেখকের স্বাক্ষর চায়। কিন্তু সে চায় আমার স্বাক্ষর। আমি তখন স্বাক্ষর করে দিই। বিষয়টা খুবই আনন্দের।
এরপর ‘কালো যাদুকর’ নামের আরও একটি বই তিনি আমাকে উৎসর্গ করেন।
সেখানে তিনি লেখেন,
‘জুয়েল আইচ,
জাদুবিদ্যার এভারেস্টে যিনি উঠেছেন। এভারেস্টজয়ীরা শৃঙ্গ বিজয়ের পর নেমে আসেন। ইনি নামতে ভুলে গেছেন।’
সত্যিই তার মতো লোকের কাছে এমন কথা খুবই ভালো লাগার। শুধু তাই নয়, তিনি আমার ছোট ভাই শংকু আইচকে ‘এই শুভ্র এই’ বইটি উৎসর্গ করেছেন।
সেখানে লেখা, ‘বইটিতে শুভ্র নাম লেখা হলেও এটির নায়ক শংকু আইচ, জুয়েল আইচের ভাই’।
হুমায়ূন ভাইয়ের ম্যাজিকের প্রতি অসম্ভব দুর্বলতা ছিল। তিনি সুটকেস ভর্তি করে বই কিনতেন। যার মধ্যে থাকত ম্যাজিকের বই। ‘হিস্ট্রি অব ম্যাজিক’, ‘ম্যাজিক ডিকশনারি’ মতো অসংখ্য বই তার ছিল মুখস্থ। সেগুলো নিয়ে কথা বলতেন। আমি তার আগ্রহ দেখে অবাক হতাম।
অনুলিখন: ওয়ালিউল মুক্তা