ফেরা হলো না জুটন চৌধুরীর

জুটন চৌধুরীগেল বছর এই সময়ে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে সাংবাদিক জুটন চৌধুরী সবার কাছে আকুতি করে বলেছেন, ‘আপনারা আমার পাশে থাকুন। আমি বাঁচতে চাই। আবার কাজে ফিরতে চাই।’ না, তার আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হলো না। চলে গেলেন একেবারেই।

শনিবার দিবাগত রাত (১৮ ফেব্রুয়ারি) ১২টা ২০ মিনিটে মোহাম্মদপুর পিসি কালচারের বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিনোদন সাংবাদিকতার অন্যতম এই মানুষটি।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এফডিসিতে শ্রদ্ধাঞ্জলিআজ রবিবার দুপুর ১২টায় জুটন চৌধুরীর মরদেহ বিএফডিসিতে আনা হয়। সেখানে চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বাচসাস সভাপতি আব্দুর রহমান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, অভিনেতা হেলাল খানসহ অনেকেই।
এরপর বেলা ১টার দিকে জুটন চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখান থেকে রাজারবাগ বরদেশ্বরী কালিমন্দির-সংলগ্ন শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে জুটন চৌধুরীজুটন চৌধুরী দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন পাক্ষিক ম্যাগাজিন ‘আনন্দধারা’য়। এরপর নিজের সম্পাদনায় ‘বিনোদন চিত্র’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জুটন চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) ছাড়াও বেশ কিছু সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।এফডিসিতে জুটন চৌধুরী প্রসঙ্গে বলছেন বাচসাস সভাপতি