এমনই এক চরিত্র মায়া। আরও আছে। ‘মায়া—একজন কৃষক, একজন মা, একজন প্রেমিকা এবং একাই জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এক সংগ্রামী নারী। যেহেতু নাম ভূমিকায় আছি, তাই ছবিটির জন্য অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’ ভাষ্যটা জ্যোতিকা জ্যোতির।
জ্যোতি বললেন, ‘এই সিনেমায় মায়া ঘর-গৃহস্থালি থেকে শুরু করে কৃষিকাজ, সবই করে। বাস্তবে আমি এসব করিনি, এমন চরিত্রও আগে করিনি। তবে আমি গ্রামে বড় হয়েছি। এ চরিত্রগুলো আমার চেনা। চরিত্রটি হয়ে ওঠার জন্য কোনও ছাড় দিচ্ছি না। এতে কাদামাটি ছাড়া আমার শরীরে আর কোনও মেকআপ নেই।’
‘মায়া, দ্য লস্ট মাদার’ পরিচালনা করছেন ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’-এর সুবাদে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া নির্মাতা মাসুদ পথিক। তিনি জানান, ২৯ মার্চ পর্যন্ত তারা কাজ করবেন নরসিংদীর রায়পুরা গ্রামে।
এ ছবিতে আরও অভিনয় করছেন বাংলাদেশের প্রাণ রায়, রানী সরকার, সৈয়দ হাসান ইমাম, লীনা ফেরদৌসী, ঝুনা চৌধুরী, নাজমা আকতার, দেবাশীষ কায়সার প্রমুখ। এছাড়া প্রায় ২০ জন কবির অভিনয় করার কথা রয়েছে।
সর্বশেষ সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন কলকাতার ছবি ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’। বাকি আছে ডাবিং। জ্যোতি বললেন, ‘‘বৈশাখ পর্যন্ত দেশে আছি। এরপর কলকাতায় উড়াল দিতে হবে। সেখানে ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিটির ডাবিংয়ে অংশ নেবো।’’
এখন পর্যন্ত জ্যোতির সব ছবি বৈচিত্র্যপূর্ণ হলেও পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার নয়। কোনও ছবিতেই নেই নাচ-গানের জমজমাট দৃশ্য। বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছেন জ্যোতি! ‘কমার্শিয়াল ছবির প্রস্তাব প্রথম দিকে অনেক পেয়েছি। এখনও পাই। কিন্তু কেন জানি ব্যাটে-বলে মেলে না। বেশিরভাগ সময়ই আমার ভালো লাগে না। এটা ঠিক, একদিন আমিও নাচ-গানের ছবিতে অভিনয় করবো। তবে এর জন্য কোনও তাড়া নাই।’