ওয়াইফাই জোনও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জমজমাট। এই জায়গাটা তুলনামূলকভাবে একটু গরম! চারতলায় তেরেস দো জার্নালিস্টসে অবশ্য আজ (সোমবার) তেমন সাংবাদিক নেই। কারণ ছাদবারান্দা হওয়ায় এই জায়গায় ঠাণ্ডা আরও বেশি।
কান উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দো ফেস্টিভ্যাল ভবনের বাইরে এসে দেখি মেয়েরা গায়ে চাদর জড়িয়ে চলাফেরা করছেন! কনকনে হাওয়া বইছে, কিন্তু সিনেমাপ্রেমীরা তাতে দমে যাননি। আজও মানুষ আর মানুষ।
গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে ঢুকতেও সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্রানুরাগীরা। এই প্রেক্ষাগৃহে কিছু প্রদর্শনী দেখতে হলে অবশ্য ইনভাইটেশন লাগে। সেগুলো খুব একটা মেলে না। এই টিকিট উপহার পেতে উৎসবের সপ্তম দিনেও অনেকে কাগজে লিখে কিংবা প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে অনুরোধ জানাচ্ছেন।
এর উল্টো দিকে নামিদামি ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানের আউটলেট। পাঁচতারা হোটেলগুলোও এই সারিতে। জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে নন্দিতা দাস ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম। তারা কী কী বললেন লিখতে গিয়ে কান উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে হতবাক হতে হলো। ফ্রান্সের নিকোলাস শপো ও জিল পোর্ত পরিচালিত ‘দ্য স্টেট অ্যাগেইনস্ট ম্যান্ডেলা অ্যান্ড দ্য আদারস’ ছবির ফটোকলের মধ্যে ‘মান্টো বাহিনী’ নন্দিতা, নওয়াজুদ্দিন, রাসিকা দুগ্গাল ও তাহির রাজ ভাসিনের স্থিরচিত্র! এ ধরনের ভুল গত চার বছর চোখে পড়েনি। তবে এত বড় একটি আয়োজনে এমন ছোটখাট ভুল নাইবা ধরলাম!
তাছাড়া কান উৎসবে এসে হাত-কানও জমে যাচ্ছে! এত ভুল ধরার সুযোগ কই।