শনিবার (১৯ মে) কানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টা) পালে দো ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বসে কানের সমাপনী আসর।
‘থ্রি ফেসেস’ ছবির গল্প আর্মেনিয়ান সীমান্তে উত্তর-পশ্চিম ইরানে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন বয়সী তিন অভিনেত্রীকে ঘিরে। তাদের একজন অভিনয় ছাড়তে বাধ্য হয়। অন্যজন হালের বিখ্যাত তারকা। আর বাকি মেয়েটি ড্রামা স্কুলে ভর্তি হতে মুখিয়ে থাকে। কিন্তু পরিবারের গোঁড়ামির কারণে পারছে না। তাই এক অভিনেত্রীর শরণাপন্ন হয় সে। এবারই প্রথম কানের মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিলেন জাফর পানাহি। ‘দ্য হোয়াইট বেলুন’-এর সুবাদে কানে প্রথম ইরানি হিসেবে পুরস্কার (ক্যামের দ’র) পাওয়া নির্মাতা তিনিই।
শুরুতে ৭১তম আসরের বিভিন্ন স্মরণীয় ও উল্লেযোগ্য মুহূর্ত দেখানো হয়। এরপর আলোকিত হয় মঞ্চ। বলতে শুরু করেন মাস্টার অব সিরিমনিস এদুয়ার্দ বেয়া। সমাপনী ছবির পরিচালক টেরি গিলিয়ামকে ডাকলে তিনি আসনের ওপর দাঁড়িয়ে সবাইকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
বিচারকদের অন্য আটজন মঞ্চে আসার পর ইতালিয়ান অভিনেত্রী এশিয়া আর্জেন্টোকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি জানান, ১৯৯৭ সালে কান উৎসব চলাকালেই হলিউড মোগল হার্ভি ওয়াইনস্টিন তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। আর কখনও কানে তাকে না ডাকার আহ্বান জানান তিনি।