সেই সময়ে আকাশবাণী রেডিওতে প্রচারিত ‘আমার পুতুল আজকে যাবে প্রথম শ্বশুরবাড়ি’ গানটি ছিল কমান্ডোদের জন্য এই অভিযানের সংকেত। এর বিশালতা ও ক্ষয়ক্ষতি ছিল ব্যাপক, যা পাকিস্তানসহ বিশ্বকে হতভম্ব করে দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছিল এই অভিযানের খবর।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সমুদ্র ও নদী বন্দরগুলোতে নৌ-কমান্ডোদের একযোগে পরিচালিত সফল অভিযান অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে একটি ছবি। ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এর তারিখকে মাথায় রেখে আগামী ১৬ আগস্ট হবে এর মহরত। রবিবার (১০ জুন) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
‘মনপুরা’ ও ‘স্বপ্নজাল’-এর পর এটি হবে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালনা তৃতীয় ছবি। এর পান্ডুলিপি তৈরি করেছেন তিনিই। মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান ও নৌ-কমান্ডোদের দুঃসাহসী অভিযানকে স্মরণীয় করে রাখতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হবে ছবিটি।
‘অপারেশন জ্যাকপট‘ কীভাবে তৈরি হবে, দেশি-বিদেশি কারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন ও ছবিটিতে কোন কোন বিষয় তুলে ধরা হবে, সেই বিষয়ে একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয় বৈঠকে।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে রবিবারের বৈঠকে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।