শুক্রবার (১৩ জুলাই) রাতে সত্তর দশকের তুমুল জনপ্রিয় হিপহপ গানের আসর বসেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম-এ। ‘বনি এম ফিচারিং লিজ মিচেল লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামের এই কনসার্টটির আয়োজক ক্রেইন্স লিমিটেড।
শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটায় মিলনায়তনজুড়ে করতালির মধ্য দিয়ে মঞ্চে আসেন লিজ মিচেল ও বনি এমের অন্য তিন তরুণ সদস্য।
শুভেচ্ছা জানিয়েই লিজ মিচেল শুরু করেন তাদের তুমুল জনপ্রিয় গান ‘সানি’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। এরপর গাইতে থাকলেন তাদের বিখ্যাত সব গান- ‘ডেডি কুল’, ‘মামা বেকার’, ‘হুররে হুররে ইটস আ হলি ডে’, ‘ব্রাউন গার্ল ইন দ্য রেইন’, ‘রাসপুটিন’, ‘বাই দ্য রিভাব অব ব্যাবিলন’ প্রভৃতি।
পুরো আয়োজনের শেষের দিকে এসে লিজ মিচেল দর্শকদের চমকে দিলেন আরেকবার। মঞ্চে ডেকে নিলেন বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীনকে! এরপর একই মঞ্চে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুজনে গেয়ে শোনান বনি এম-এর দুটো গান। একটি ‘রিভার্স অব বেবিলন’ অন্যটি ‘ক্যালেন্ডার সং- জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ’।
বনি এম-এর প্রথম অ্যালবাম ‘টেক দ্য হিট অব মি’ প্রকাশ হয় ১৯৭৬ সালে। প্রথম অ্যালবামে ‘ডেডি কুল’, ‘সানি’, টেক দ্য হিট ফর মি’, ‘বেবি ডু ইউ ওয়ানা বাম্প’, ‘নো ওমেন নো ক্রাই’ ও ‘ফিভার’ গানগুলো রয়েছে। অ্যালবামের প্রথম হিট সিঙ্গেল ‘ডেডি কুল’ যুক্তরাজ্যের টপ চার্টে স্থান করে নেয়। ডিসকো গানের এ অ্যালবামটি ইউরোপের নানা দেশের টপ চার্টের সেরা অবস্থান অর্জন করে। এরপর তাদেরকে আর পেছেনে তাকাতে হয়নি। সারা বিশ্বে ডিসকো গানের দল হিসেবে তারা ট্যুর করতে থাকে।
দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘লাভ ফর সেল’ বের করে ১৯৭৭ সালে। ‘মা বেকার’, ‘বেলফাস্ট’, ‘মাদারলেস চাইল্ড’ গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৭৮ সালে প্রকাশ পায় অ্যালবাম ‘নাইটফ্লাইট টু ভেনাস’। এই অ্যালবাম তাদেরকে এনে দেয় ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সফলতা। ‘রিভার অব ব্যবিলন’, ‘রাসপুটিন’, ‘ব্রাউন গার্ল ইন দ্য রেইন’ গানগুলো অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায়। যুক্তরাষ্ট্রেও তারা ব্যাপক সাড়া পায়। পরের অ্যালবাম ‘ওশেনস অব ফ্যান্টাসি’ প্রকাশ পায় ১৯৭৯ সালে। সেখানে স্থান পায় তাদের ক্যারিয়ারের আরেক তুমুল জনপ্রিয় গান ‘হুররে হুররে ইটস আ হলি হলি ডে’।
বনি এম-এর পুরনো পরিবেশনা:
১৯৮০ সালে প্রকাশ পায় তাদের প্রথম সংকলন অ্যালবাম ‘দ্য ম্যাজিক অব বনি এম-টোয়েন্টি গোল্ডেন হিটস’।
‘বুনুনুজ’ শিরোনামের পঞ্চম অ্যালবামটি আসে ১৯৮১ সালে। এক পর্যায়ে দলের সদস্যদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। বর্তমানে লিজ মিচেল নতুন সদস্যদের নিয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে মাতিয়ে চলেছেন, বাঁচিয়ে রেখেছেন সত্তর দশকের ব্যান্ড বনি এম-এর নামটাও।