এই সিরিজের ‘বিস্মরণ’ অবলম্বনে ১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রটি তৈরি করেন নায়ক-নির্মাতা-প্রযোজক মাসুদ পারভেজ। এরপর গেল ৪৪ বছরে এই সিরিজ থেকে আর কোনও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি। কারণ, মাসুদ রানার জনক কাজী আনোয়ার হোসেন আর কাউকে তার রচনা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি দেননি।
নতুন খবর হলো, আবারও নির্মিত হচ্ছে বাংলার জেমস বন্ড-খ্যাত মাসুদ রানা অবলম্বনে চলচ্চিত্র। তাও একটি নয়, পর পর তিনটি! ২৯ জুলাই এমনটাই নিশ্চিত করেন দেশের অন্যতম চলচ্চিত্র প্রযোজক আবদুল আজিজ। তিনি জানান, জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে আগামী পাঁচ বছরে মাসুদ রানাকে নিয়ে তিনটি চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। এরমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এর মূল নায়ক চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া।
আর ছবিগুলো নির্মিত হবে সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’, ‘ভারতনাট্যম’ ও ‘স্বর্ণমৃগ’ অবলম্বনে। কিন্তু কে হচ্ছেন আলোচিত এই তিন ছবির মাসুদ রানা? জবাবে আবদুল আজিজ বলেন, ‘যেহেতু তিনটি ছবির জন্যই আমরা একজনকে চূড়ান্ত করবো, সেহেতু কাজটি বেশ কঠিন। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি পাঠকদের মনে যে মাসুদ রানা আটকে আছেন ঠিক তেমন কাউকেই বেছে নিতে।’
ফর্মুলা ছবির বাইরে এসে এই প্রযোজক মাসুদ রানা নির্মাণের কারণ প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমাদের নিজেদের সৃষ্টি কোনও সুপার হিরো, সুপারম্যান কিংবা স্পাইডারম্যান নেই। আমাদের কাছে সুপার হিরো মানেই মাসুদ রানা, যে আমাদের কাছে বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত স্পাই। গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তর। বিচিত্র তার জীবন। অদ্ভুত রহস্যময় তার গতিবিধি। সে প্রচণ্ড রকমের দেশপ্রেমিক। একইসঙ্গে সরল, কোমল ও কঠিন। আমার কাছে মাসুদ রানাই বাংলার জেমস বন্ড। সেই আবেগ থেকেই ছবিগুলো করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
এরপরই সম্প্রতি তার লেখা তিনটি বই থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি পায় জাজ মাল্টিমিডিয়া।
এদিকে মাসুদ রানাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের এই বিশাল প্রজেক্টের সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ। জানা গেছে, প্রথম ছবিটির শুটিং শুরু হচ্ছে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে। এখন চলছে চিত্রনাট্য তৈরি ও লোকেশন খোঁজার কাজ।