গত ২৮ জুলাই সংগঠনটি তাদের কার্যনির্বাহী সদস্যদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। নিষিদ্ধের আদেশ ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হলো। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২ আগস্ট রাতে এর আহ্বায়ক তারেখ মিন্টুর স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে গণমাধ্যমকে।
সংগঠনটির সালিশ কমিটির আহ্বায়ক তারেখ মিন্টু জানান, প্রযোজক বোরহান খানের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি ‘অ-শিল্পী সুলভ আচরণের’ জন্য টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাক্টর্স ইকুইটি বিষয়টি নিয়ে সারিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি সারিকা।
এরপর সারিকাকে ছাড়াই নেপালে চলে যায় শুটিং ইউনিট। তাই পরিকল্পনায় থাকা সারিকাকে নিয়ে ৫টি নাটক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে প্রযোজক বোরহান খান আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। প্রযোজক জানিয়েছেন, নাটকগুলো নির্মাণ করার কথা ছিল দীপু হাজরা ও আসাদুজ্জামান আসাদের।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সংগঠনটি তার সদস্যদের অনুরোধ করে জানায়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নাটক, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনসহ এমন কোনও কর্মকাণ্ডে সারিকাকে যেন না নেওয়া হয়। চিঠি প্রাপ্তির পর সংগঠনের কোনও সদস্য যদি এই নির্দেশ অমান্য করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন জানতে ২ আগস্ট রাত থেকে ৩ আগস্ট বিকাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার সারিকার মোবাইল ফোনে ও ফেসবুকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি এখন দেশে না বিদেশে অবস্থান করছেন- সে বিষয়ে তার সহকর্মীদের কাছ থেকেও কোনও সঠিক খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে চলমান ছাত্র আন্দোলন ইস্যুতে তিনি ফেসবুকে অ্যাকটিভ রয়েছেন।