মূলত সেরা দশ সুন্দরীকে নিয়ে এই পর্ব শুরু হচ্ছে।
'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮'-এর আয়োজক অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী বললেন, ‘সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীর নাম পাঠাতে হয়। তাই আমরা এবারের আয়োজন দ্রুতই সম্পন্ন করতে চাই। আর এবার সব প্রস্তুতি দারুণ। বিশ্বসেরার মুকুটের জন্য আমরাও দুর্দান্তভাবে লড়তে চাই।’
এবারের আসরে মূল বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শুভ্রদেব, অভিনেত্রী তারিন, মডেল খালেদ সুজন, ইমি ও ব্যারিস্টার ফারাবী।
এরমধ্যে তারিনের নাচ, শুভ্রদেবের সংগীত, খালেদ সুজনের র্যাম্প, ইমির ফ্যাশন ও আউটফিট এবং ব্যারিস্টার ফারাবীর বিচারের মূল বিষয় সাধারণ জ্ঞান। পুরো প্রতিযোগিতায় তারাই বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। তবে গালা রাউন্ডে এদের পাশাপাশি যুক্ত হবেন সংগীত তারকা মাইলস ব্যান্ডের শাফিন আহমেদ, হামিন আহমেদসহ আইকন বিচারকরা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিএফডিসিতে মনোরম সেটে চলছে সুন্দরী বাছাই পর্ব। ইতোমধ্যে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে থেকে অডিশন, সিলেকশন, পারফরম্যান্সসহ বিভিন্ন রাউন্ডে ধাপে ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সেরা ১০ সুন্দরী চূড়ান্ত করেছেন বিচারকেরা। তাদের নিয়ে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেল এখন চলছে গ্রুমিং পর্ব। এদের নাচের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। এই সেরা ১০ প্রতিযোগীকে নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বারের মতো অন্তর শোবিজ আয়োজন করছে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ। গতবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জেসিয়া ইসলাম। তার আগে বাংলাদেশ থেকে ২০০১ সালে ৫১তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তাবাসসুম ফেরদৌস শাওন।
১৯৯৪ সালে প্রথম মিস বাংলাদেশ অংশ নেন বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায়। তিনি ছিলেন আনিকা তাহের।
এরপর ইয়াসমিন বিলকিস সাথী (১৯৯৫), রেহনুমা দিলরুবা চিত্রা (১৯৯৬), শায়লা সিমি (১৯৯৮), তানিয়া রহমান তন্বী (১৯৯৯) ও সোনিয়া গাজী (২০০০) মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।