বাংলা ট্রিবিউন: দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা লিট ফেস্টে এলেন। দুইবারের অভিজ্ঞতা কেমন?
নন্দিতা দাস: প্রথমবারে এসেছিলাম ২০১২-তে। আর এখন আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে লিট ফেস্ট। এখন অনেক প্যানেল, স্পিকার কথা বলছেন। সবচেয়ে ভালো লাগছে তরুণ দর্শকদের অংশগ্রহণ। তারা যদি শুনে তাহলে এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়।
বাংলা ট্রিবিউন: এবার আপনি ‘মান্টো’-কে সঙ্গে করে এসেছেন। ছবিটির প্রদর্শনী হলো এখানে। এটি দেখানোর পরে সাড়া কেমন পেলেন?
নন্দিতা দাস: প্রশ্ন-উত্তর পর্বেই আমি ভীষণ সাড়া পেয়েছি। ছবি শেষে এমন কথোপকথন জরুরি ছিল। বিশেষ করে তরুণ দর্শকদের মনোভাব আমার খুব ভালো লেগেছে। আর একটা বিষয়, ছবি প্রদর্শনীর মধ্যে অনেকেই মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ছবিটি দেখানোর সময় এমন দৃশ্য দেখিনি এখানে। সবাই নিমগ্ন হয়ে দেখছে- এটা খুব ভালো লেগেছে।
আর একটা কথা! ‘মান্টো’র গল্পটা সত্তর বছর আগের। আমাদের দেশে আপনাদের দেশে কিংবা পৃথিবীর সব দেশেই মান্টোরা আছেন। তাই এটি পুরনোও নয়। আমাদের উচিত তাদের সমর্থনে কাজ করা।
নন্দিতা দাস: আমি বারবার এমন ছবি কেন করছি- তা নিজেও জানি না। তবে এটা আমাকে ভাবায়। লিঙ্গ, ধর্ম, গায়ের রং, সম্প্রদায় নিয়ে আমরা বিভেদ তৈরি করে যাচ্ছি। কেন তৈরি করছি আমরা জানি না। আমাদের নিজেদেরকেই ভেঙে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। শুধু রাজনীতিকদের বললেই হবে না- এগুলো দূর করে দাও। আমাদের মধ্যে যে অন্ধকার দিক আছে, তা দূর করতে হবে আমাদেরই।
নন্দিতা দাসের এমন অনেক আলাপ পাবেন বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক লাইভের ভিডিওটিতে। এটি দেখতে ক্লিক করুন-