জানালেন, শুধু মঞ্চেই নয়, লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করা এই মডেল মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনিয়েছেন অন্য প্রতিযোগীদের।
বিশেষ করে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ মেক্সিকান ভ্যানেসা পন্তে, নেপালের শৃঙ্খলা খাড়িওয়া ছিল তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আর গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মানুসি চিল্লারের চোখের মণি ছিলেন ঐশী। তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটতো তার।
আর ভ্যানেসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেধা, যোগ্যতার পাশাপাশি মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ একজন ভালো মনের মানুষ খোঁজেন। সে কারণেই ভ্যানেসা এগিয়ে যায়। আমি ওর সঙ্গে যখন গল্প করতাম তখন টের পেতাম সে কতটা ভালো মনের মানুষ। তার কথার মধ্যে মনে হতো জাদু আছে। চারদিকে সে ইতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে দিতে পারত। আর সে আসলেই খুব ভালো। তাকে আমি বাংলাদেশের গল্প শোনাতাম। আগে বাংলাদেশের নাম শুধু জানতো। আমার কাছে গল্প শুনে আমাদের দেশ সম্পর্কে তার ভালো ধারণা তৈরি হয়ে গেছে। এ জন্য সে এদেশে আসবে বলেও জানিয়েছে। আমি বলেছি, তুমি বাংলাদেশে এলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত দেখাবো। এটা আমাদের কক্সবাজারে অবস্থিত।’
ঐশীকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন গতবারের মুকুট জয়ী ভারতের মানুসি চিল্লার। প্রতিবেশী দেশের মেয়ে বলেই হয়তো এই আদর তার কাছ থেকে আসতো বলে মনে করেন ঐশী।
মানুসি চিল্লার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি তাকে দিদি বলে ডাকতাম। প্রতিযোগিতার শেষ ১৬ দিন আমি তাকে কাছে পেয়েছি। প্রতিযোগীরা বলতো মানুসি চিল্লার তোমাকে বেশি আদর করে। আমার প্রতি মানুসির কেয়ারিং দেখে শৃঙ্খলা তো বলেই ফেলল, ‘ও শুধু তোমাকে পছন্দই করেন, খুব ভালোবাসেন।’ সবাই আমাকে মানুসির ছোট বোন বলে ডাকত।’’
উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর রাতে চীনের হাইনান প্রদেশের সানাইয়া সিটি এরেনায় অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল আসর। ৬৮তম এই আসরে ১১৭ দেশের সুন্দরীরা অংশ নেন। ঐশী সেরা ৩০ প্রতিযোগী হিসেবে গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নেন।