সময়টা ২০১৮ সালের মাঝামাঝি। চারদিকে চলছে সিয়ামের গুণগান। মাত্রই তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘পোড়ামন-২’ মুক্তি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অনেকদিন পর বাংলা চলচ্চিত্রে কোনও নায়কের পেছনে ‘ক্রেজ’ শব্দটি যুক্ত হয়েছে।
প্রশ্নটা ছিল কবে বিয়ে করবেন, কাকে বিয়ে করছেন? ন্যানো সময় পর্যন্ত ভাবেননি। বললেন, ‘অবন্তীর সঙ্গেই আমার বিয়ে হবে। সেটা যখনই হোক। তবে এটা দ্রুতই হবে। এখানে আমার ক্যারিয়ারকে মুখ্য করে দেখছি না।’
কথামতো ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেন সিয়াম-অবন্তী। সেই বিয়ের রাতে হঠাৎ করেই ঘোষণাটা দিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বন্ধু সিয়ামের মতো দ্রুতই সংসার বাঁধতে চান তিনি। ২৫ জানুয়ারি মেহেদি আর ১ ফেব্রুয়ারি বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।
সিয়াম-অবন্তীর মতোই বন্ধুত্বের মাধ্যমে হারুন-উর রশীদ অপুর সঙ্গে সম্পর্কের শুরু ফারিয়ার। তবে তা ফেসবুকে।
মূলত অপু ফেসবুকে ফারিয়াকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠান। একশ'র বেশি ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ থাকায় ফারিয়া তা গ্রহণও করেন। একদিন অপু মেসেঞ্জারে লেখেন, ‘হ্যালো'। ওপাশ থেকে দুম করে ফারিয়ার উত্তর- ‘দেখেন, আমি খুব হতাশার মধ্যে আছি। কখন কী বলে ফেলি ঠিক নেই!’
এভাবেই শুরু।
ফারিয়া বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর ১৫ দিন আগে অপুকে ডেকে নিয়েছিলেন তিনি। তখন আমাদের সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু বাবা অপুকে পছন্দ করতেন, অপুও বাবার খুব ভক্ত। মৃত্যুর আগে বাবা ৭ দিন হাসপাতালে ছিলেন, ৭ দিনই অপু তাকে দেখতে গেছে।’
কিন্তু মৃত্যুর আগে যার ওপর বাবা আস্থা রেখেছিলেন, ফারিয়া তাকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কথামতো রাজকীয়ভাবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হলো আনুষ্ঠানিকতা।
অপু বা অবন্তীর মধ্যে একটা মিল আছে। দুজনই কাজ করেন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে। একেবারে ভিন্ন জগত। আবার উল্টো করেও বলা যায়, সিয়াম-ফারিয়ার পছন্দের মানুষ দুজন আলাদা ভুবনের। বলা যায়, এই দুই বন্ধুর পছন্দের মিল এখানেই।