১৩ মার্চ বিকাল পৌনে পাঁচটায় তাদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছিল বাংলা ট্রিবিউন। বাংলা ট্রিবিউন লাইভে এসেছিলেন মীরাক্কেল-৬ চ্যাম্পিয়ন আবু হেনা রনি, জামিল হোসেন ও ইশতিয়াক নাসির। অসুস্থতার কারণে শেষ মুহূর্তে যোগ দিতে পারেননি আনোয়ারুল আলম সজল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় বসেছিলেন অভিনেত্রী ও বাংলা ট্রিবিউনের মার্কেটিং প্রধান বন্যা মির্জা। থাকছে সে আয়োজনের চুম্বক অংশ।
শুরুটা রনি করেন কৌতুক দিয়ে। বলেন, ‘হাসানো কোনও কঠিন কাজ নয়। যদি আপনি অফিসের বস হয়ে থাকেন, তাহলে সবার বেতন বাড়িয়ে দিতে পারেন। কর্মচারীরা দেখেন খুশিতে হাসবে। বউকে বলতে পারেন, যা ইচ্ছে কিনতে পারো। দেখবেন, তিনি হাসছেন।’
এর পরপরই অতিথিদের নাম ঘোষণা করেন সঞ্চালক বন্যা মির্জা।
তিনি শুরুতেই প্রশ্ন রাখেন জামিলের কাছে। বলেন, তার আরেকটি নতুন পরিচয় সংযোজিত হয়েছে। সেটা হলো অভিনেতা। ‘আয়নাবাজি’তে তার ছোট্ট উপস্থিতি, যা চোখে পড়ার মতো। নাটকেও নিয়মিত। অভিনয় নিয়ে ভাবনা কেন এলো?
এ প্রসঙ্গে জামিল বলেন, ‘‘পার্থ দা ছিলেন তো। আসলে বোতলে কোক ছিল। আর মূলত মীরাক্কেলে যাওয়ার পরই টার্গেট ছিল অভিনয়টা করবো। তবে প্রথমদিকে স্ট্যান্ডআপ কমেডির কারণে অনেকে এ বিষয়ে আমাকে নিরুৎসাহিত করেছেন। বলেছেন, আপনাকে দিয়ে হবে না, কারণ, আমি স্ট্যান্ডআপ কমেডি করি। যখন দেশে ফিরি তখন পরিচালক পিএ কাজল দা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি প্রথমেই বলেন, ‘তোকে আমি ফিল্মে নিতে চাই।’ তার কাছে কারণ জানতে চেয়েছিলাম। উত্তরে তিনি বলেন, ‘মীরাক্কেল চলার সময় আমি তোর মধ্যে ক্যারেক্টার খুঁজে পেতাম।’ এরপর আস্তে আস্তে অভিনয়ে যুক্ত হয়েছি। ছোট ছোট ক্যারেক্টার করে এখনও এগুচ্ছি।’’
রনি: ছোট চরিত্র না। তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে, এখন লোকজন জিজ্ঞেস করেন, জামিল ভাইয়ের সঙ্গে ওরা (আমাদের দেখিয়ে) কারা!
বন্যা: এবার রনি বলুন, আপনি কেন জামিলের মতো নিয়মিত অভিনয় করছেন না?
রনি: স্ট্যান্ডআপ কমেডিও একটা অভিনয়। এখানে সব ধরনের এক্সপ্রেশনই থাকে। সেই অর্থে অভিনয় শুরু থেকেই করছি। তবে স্ট্যান্ডআপ কমেডি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
বন্যা: ইশতিয়াক আপনার তিনটা নাটকে অভিনয় অভিজ্ঞতা আছে। আর কী কী পাওয়া যাবে?
ইশতিয়াক নাসির: হা, হা। আমি আসলে ভিলেন চরিত্রটি করতে চাই। কারণ, নায়িকার কাছে দুজনই যেতে পারে। এক নায়ক আর দ্বিতীয়ত ভিলেন। নায়ক হওয়ার মতো যোগ্যতা আমার নাই। তবে ভিলেন হতে চাই।
বন্যা মির্জা: জামিল শুরুতে বলছিলেন তাকে অভিনয়ে নিতে চাচ্ছিল না। আপনারাও মীরাক্কেল থেকে ফিরে কাজ করছেন। স্ট্যান্ডআপ কমেডির জন্য দর্শক তৈরি করছেন। আপনার কি কোনও চ্যালেঞ্জ ফেস করছেন?
ইশতিয়াক: অনেকদিন আগে আমি ও রনি একটি অনুষ্ঠানে পারফর্মার হিসেবে গিয়েছিলাম। আমার সময় ছিল আধঘণ্টা। দশ মিনিট পর দেখি, এক কর্মকর্তা পেছন থেকে আমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার জন্য। অথচ আমি মীরাক্কেলের কৌতুকগুলোই বলছিলাম। তারা সামনাসামনি এগুলো নিতে পারলেন না।
ইশতিয়াক: আমি একটা উদাহরণ দেই। এআইবি নামের ভারতের একটি গ্রুপ আছে। তারা তাদের শো’তে রোস্টিং করে। সোজা বাংলায় যাকে তাকে পচায়। অর্জুন কাপুর ও রণবীর কাপুরকে পচিয়ে ছিল। পশ্চিমা বিশ্বে কিন্তু এটা আছে। তারা খুব সহজভাবে এটা গ্রহণ করে। কিন্তু আমাদের এখানে বিষয়গুলো পার্সোনালি নিয়ে নেয়। ইন্ডিয়াতে অনলাইনে কিন্তু অনেক শো হয়। যেখানে খুব গভীরভাবে সমালোচনা বা পচানো হয়। শাহরুখ খান একবার সেই গ্রুপদের বলেছিল, আমাকে তোমাদের শো-তে নাও।
বন্যা মির্জা: এখানে কি এমনটা হয়?
রনি: এখানে অনুষ্ঠান ছেড়ে অতিথিরা বের হয়ে যেতে লাগে।
জামিল: বন্যা আপুর কাছে একটা প্রশ্ন, আপনাকে কি কেউ বলেছেন আপনি কারিনা কাপুরের মতো দেখতে?
বন্যা: আমাকে তো সারাক্ষণই এ কথা শুনতে হয়। কিছুদিন আগে ফেসবুকে মজার একটা মিম দেখলাম, আমাকে নিয়ে লিখেছেন- গরিবের কারিনা কাপুর।
এমন নানা ধরনের প্রশ্ন-উত্তর, আড্ডা আর মজার মজার ঘটনা পাওয়া যাবে পুরো অনুষ্ঠানটিতে। যা দেখতে পারবেন বাংলা ট্রিবিউনের ইউটিউব চ্যানেলে।
পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে:
ছবি: নাসিরুল ইসলাম, ভিডিও: নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব