হল ব্যবস্থাপনায় ভরসা রাখতে না পেরে প্রথম থেকেই এই নির্মাতা জানিয়ে আসছিলেন বিকল্প পদ্ধতিতে ছবি দেখাতে চান তিনি। এবার সেই অনুযায়ী বড় পরিসরে শুরু হচ্ছে এর কার্যক্রম। এপ্রিল মাসের পুরোটা সময় এটি চলবে বলে জানালেন এই নির্মাতা।
সে অনুযায়ী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এটি দেখানো হবে ঢাকার অদূরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল প্রতিদিন ৩টি করে প্রদর্শনী হবে ছবিটির।
বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এটি হবে।
বিষয়টি নিয়ে রাজিবুল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহ ছাড়াই এর আগে আমরা স্বল্প পরিসরে একটি স্থানে প্রদর্শনী করেছি। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন প্রদর্শনী হবে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানেও আমরা যাবো।’
এদিকে সম্প্রতি পরিবেশক সমিতি জানিয়েছে, ‘ভালো’ সিনেমা নির্মাণ না হলে ও বিদেশি চলচ্চিত্র মুক্তির দিনেই ঢাকা আসতে না দিলে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে এর জবাবে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেছেন, হল বন্ধ করলেও সমস্যা নেই। বিকল্প ব্যবস্থাপনায় তারা সিনেমা প্রদর্শন করবেন, তবুও দেশে বিদেশি ছবির অবাধ মুক্তির বিষয়টি মেনে নেবেন না তারা।
বিষয়টি নিয়ে বেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে গেল কয়েক দিন। ঠিক সেসময়ই ‘হৃদয়ের রংধনু’ চলচ্চিত্রের এমন হলবিহীন প্রদর্শনী বাড়তি আগ্রহ তৈরি করেছে।
প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ হিসেবে রাজিবুল বলেন, ‘আমাদের দেশের হল ব্যবস্থাপনা ভালো নয়। একজন স্বাধীন নির্মাতা হিসেবে আমি আমার মতো করে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করতে চেয়েছি।’
উল্লেখ্য, মুক্তির আগে থেকেই আলোচিত ‘হৃদয়ের রংধনু’। দুই বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর গত ২৩ অক্টোবর ছাড়পত্র পায় এটি।
ছবিতে দেশি-বিদেশি শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে আছেন মিনা পেটকোভিচ (সার্বিয়া), শামস কাদির, মুহতাসিম স্বজন, খিং সাই মং মারমা প্রমুখ।
২০১৪ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। ছবিটির শুটিং হয়েছে দেশের ৫৪টি জেলায়।