মন পড়ে থাকবে মাটিভাঙ্গায়

জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, ছবি: ওমর ফারুক টিটু

আমার বেড়ে ওঠাটা একেবারে গ্রামীণ পরিবেশে। গ্রামের সতেজ যে আবহাওয়ার কথা আমরা বলি বা শুনি, ঠিক তেমনই বা তারচেয়েও বেশি।
এর কারণটা হলো আমার বাবা (আবদুল হাই) আমাদের বাড়ির চারপাশে, ছাদে প্রচুর গাছ লাগিয়েছেন। শুধু বাড়িতেই নয়, এই কাজটি তিনি করেছেন আমাদের পুরো জেলাতেই।
২০০৫ সালে তিনি সবচেয়ে বেশি বৃক্ষরোপণের জন্য পুরস্কৃত হন।
যাক সে কথা। আমাদের এলাকা গাছঘেরা হওয়ায় সুবিধা হয়েছে, ঋতুর পরিবর্তনটা খুব ভালোভাবে টের পাই। গাছে গাছে মুকুল আসা থেকে আমরা টের পাই বৈশাখ আসছে। বাড়ির ছাদগুলোতে আমের মুকুলে এবারও ভরে গেছে। মেলাও হয় প্রতি বৈশাখে। কিন্তু সাধারণত যাওয়া হয় না। আমি ভিড় সামলাতে খুব একটা পটু না। তাই বাসাতেই এ দিনটি কাটে। বাসায় রান্নাবান্না দেখে আর খেয়ে দিন যায়।
রান্নাঘরে ঢুকতেও মানা। কারণ, বাড়ির লোকজন মনে করেন, আমি সেখানে গেলেই তুলকালাম হয়ে যাবে! মানে সব এলোমেলো করে ফেলবো। এবারের বৈশাখটা আমার জন্য একেবারেই আলাদা। কারণ, গ্রামের সেই চিরচেনা পরিবেশের বাইরে সময় কাটবে আমার।
এবারই প্রথম আমার জীবনে এমনটা ঘটছে। হয়তো একটা সুযোগও তৈরি হলো, ঢাকার পহেলা বৈশাখ দেখার। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রা বা রমনার বটমূলে যাবো না। কারণটা সেই পুরনো। ভিড় সামলাতে আমি অভ্যস্ত নই।
এবার ঢাকায় থাকলেও মন পড়ে থাকবে আমার গ্রামের বাড়িতে, পিরোজপুরের মাটিভাঙ্গায়।
অনুলিখন: ওয়ালিউল বিশ্বাস