এ উপলক্ষে ছিল লালগালিচা। অনেকে পা মাড়িয়েছেন সেখানে।
আলাদাভাবে দৃষ্টি কেড়েছেন সিরিয়ার নারী নির্মাতা ওয়াদ আল কাতিব, চিকিৎসক হামজা আল কাতিব ও ব্রিটিশ পরিচালক এডওয়ার্ড ওয়াটস। তারা আলাদা তিনটি কাগজে একটি আহ্বান জানিয়েছেন।
এডওয়ার্ড ওয়াটসের হাতে ছিল ‘স্টপ’। ওয়াদ আল কাতিব দেখিয়েছেন ‘বোম্বিং’। তার স্বামী হামজার দুই হাত উঁচু করে দেখানো কাগজে লেখা ‘হসপিটালস’। তিনটি শব্দকে একত্র করলে দাঁড়ায় ‘স্টপ বোম্বিং হসপিটালস’, অর্থাৎ হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপ বন্ধ করুন।
গালিচায় হাঁটার আগে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সাল দ্যু সোসানতিয়েমে ছিল স্পেশাল স্ক্রিনিং বিভাগে প্রদর্শিত ‘ফর সামা’। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে একই ভেন্যুতে আবারও এর প্রদর্শনী হয়েছে। এদিন ফটোকলে আসেন দুই পরিচালক ও চিকিৎসক।
প্রামাণ্যচিত্রটি মূলত সাংবাদিক মনোভাব নিয়ে চলা ওয়াদের নিজের জীবনের পাঁচ বছরের ঘটনার উল্লেখযোগ্য অংশ। শহরের শেষ কয়েকজন চিকিৎসকের মধ্যে একজনকে জীবনসঙ্গী করেন তিনি। সামা হলো তাদের মেয়ে। প্রামাণ্যচিত্রটি অনেকটা এই শিশুর চিঠি। যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবেশে সে কীভাবে জন্ম নিলো ও তার ঘরে কেমন পরিস্থিতি ছিল তা নিয়ে সাজানো হয়েছে ছবিটি।
এবারের উৎসবে সেরা পাঁচ উঠতি প্রতিভাবানের তালিকায় সবার ওপরে আছে ওয়াদের নাম। তিনি এখন লন্ডনে থাকেন। ২০১৭ সালে ব্রিটেনের চ্যানেল ফোর নিউজের জন্য তার বানানো একটি প্রতিবেদন এমি অ্যাওয়ার্ড জেতে। সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে সবচেয়ে বেশি দেখা প্রতিবেদন এটাই।
‘ফর সামা’ ওয়াদ আল কাতিব ও এডওয়ার্ড ওয়াটসের প্রথম প্রামাণ্যচিত্র। তাই প্রতিযোগিতা বিভাগের বাইরে প্রদর্শিত হলেও ক্যামেরা দ’র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হচ্ছেন এই দু’জন। যেকোনও পরিচালকের প্রথম নির্মাণের ওপর ভিত্তি করে এটি দেওয়া হয়।