পালে দে ফেস্তিভাল ভবনের সাল বুনুয়েলে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় সিনেফঁদাসো বিভাগের বিজয়ী নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় মঞ্চে ছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও সিনেফঁদাসো বিভাগের বিচারকদের সভাপতি ফরাসি নারী নির্মাতা ক্লেয়ার ডেনিস।
এছাড়াও ছিলেন সিনেফঁদাসো বিভাগের অন্য চার বিচারক ফরাসি অভিনেত্রী স্টেসি মার্তা, ইসরায়েলি চিত্রনাট্যকার এরান কলিরিন, গ্রিক নির্মাতা পানোস এইচ. কুত্রাস ও রোমানিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক কাতালিন মিতুলেস্কু। পুরস্কার প্রদান শেষে দেখানো হয় বিজয়ী ছবিগুলো।
সিনেফঁদাসোর এবারের আয়োজনে যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ফিলিস্তিনের দার আল-কালিমা ইউনিভার্সিটি কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড কালচারের শিক্ষার্থী উইসাম আল জাফারির ‘অ্যামবিয়েন্স’ ও পোল্যান্ডের পিডব্লিউএসএফটিভিটের ছাত্রী বারবারা রুপিক পরিচালিত ‘দ্য লিটল সৌল’। পুরস্কার হিসেবে তারা ভাগাভাগি করেছেন সাড়ে সাত হাজার ইউরো।
সাদাকালোতে বানানো ‘অ্যামবিয়েন্স’ ছবির গল্প ফিলিস্তিনের দুই তরুণকে ঘিরে। কোলাহলময় শরণার্থী শিবিরের অভ্যন্তরে গিয়ে একটি সংগীত প্রতিযোগিতার জন্য ডেমো রেকর্ডের চেষ্টা চালায় তারা। কিন্তু শোরগোলের কারণে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয় তাদের। ডেডলাইনের আগে অন্যরকম এক উপায় আবিষ্কার করে ফেলে দু’জনে।
কান উৎসবের অন্যতম পরিচালক জিলস ইয়াকব ১৯৯৮ সালে চালু করেন সিনেফঁদাসো বিভাগ। এবার বসেছিল এর ২২তম আসর। এ বিভাগে এবার জমা পড়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৬৬টি ফিল্ম স্কুলের ২ হাজার ছবি। সেগুলো থেকে সেরা ১৭টি ছবি নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে ১৪টি কাহিনিচিত্র ও তিনটি অ্যানিমেটেড ছবি।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের সিনেমা দ্যু পানতিওনে আগামী ২৮ মে সন্ধ্যা ৬টায় আবারও দেখানো হবে সিনেফঁদাসোতে পুরস্কৃত চারটি ছবি।