শৈল্পিক আবহ ও জৌলুস হাত ধরাধরি করে হাঁটে সাগরপাড়ে।
উৎসব চলে এসেছে শেষের দিকে। তাই এখন সকাল থেকে দুপুর অবধি ভিড় একটু কম থাকে। বিকাল হলেই শোরগোল পড়ে যায় পালে দে ফেস্তিভাল ভবনের চারপাশে। কারণ এ সময় লালগালিচায় পা মাড়ান তারকারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হলিউড হার্টথ্রব লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও গাড়ি থেকে নেমে সড়কের ধারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা ভক্ত-দর্শকদের অনেককে অটোগ্রাফ দেন। তাকে সামনে দেখে এশিয়ান এক নারী ভক্ত তো আনন্দে কেঁদেকুটে একাকার!
১২ দিনের এত বড় একটি আয়োজনে একটু এদিক-সেদিক হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আয়োজকরা কিন্তু চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না। সশরীরে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিলেই তা বোঝা যায়। বিশেষ করে সংবাদকর্মীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ রাখতে কত্তো কিছুই না আছে! কান কথার আগের কিস্তিগুলোতে সেসব জানিয়েছি। আলাদা করে বললে, কান উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো এবার সংবাদকর্মীদের একটা করে দারুণ ব্যাগ উপহার দিয়েছেন। এটি চাইলে দুই কাঁধে পেছন দিকে ঝুলিয়ে রাখা যায়। গত চার আসরে তাদের দেওয়া ব্যাগ সেভাবে রাখার সুযোগ ছিল না।
সৌজন্য ব্যাগটা নিয়ে চলাফেরা করা সুবিধা। এবার আরেকটু সুবিধা হয়েছে উৎসবের ভেন্যুর কাছাকাছি অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়ায়। মাঝরাত অবধি লেখালেখি করে, ছবি দেখে ও ঘোরাফেরা করে বাসায় যাওয়া যাচ্ছে। কানপ্রবাসী চট্টগ্রামের মানুষ সেজান ভাইকে এজন্য দেখা হলেই ধন্যবাদ দেই।
চাঁদপুরের ছেলে রুবেলের সঙ্গে শহরের এদিক-ওদিক ঘুরছিলাম। তার মতো কয়েকজন বাঙালি বিকালে কাজের বিরতিতে পালে দে ফেস্তিভাল ভবনের সামনের সড়কে এসে উৎসবের বিভিন্ন আয়োজন উপভোগ করেন। লালগালিচায় প্রচুর ভিড় থাকে। তাই সাধারণ দর্শকদের সুবিধার্থে ভবনের একপাশে বড় পর্দায় ও সড়কের ধারে পর্দায় পুরো অনুষ্ঠান দেখানো হয়।
সংবাদকর্মীরা চাইলে প্রেস রুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েই লালগালিচার জৌলুস উপভোগ করতে পারেন। অনেক তারকার মাঝে ফরাসি সৌরভ নিয়ে হাজির হওয়া মারিয়ন কঁতিয়ার কথা বলি। অবশ্য তার রূপ নিয়ে বললে হাজার কবিতা লেখা হয়ে যাবে! সবুজ চোখজোড়ায় কী দারুণ সৌন্দর্য ঠিকরে পড়ছে। ৪২ বছর বয়সী এই তারকার কোনও ছবি নেই এবারের আসরে। তবুও তিনি সিনেমার টানে এসেছেন। কানসৈকতের প্রতি মানুষের ভালোলাগা এই একটা কারণেই।