‘ইত্যাদি’র চরিত্রানুযায়ী বিদেশিদের দিয়ে করানো নানান ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটে চমৎকার একটি বার্তার মাধ্যমে। বিদেশিরা মনে করেন, এটি তাদের জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা ও আনন্দের মাধ্যম।
হানিফ সংকেত বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিনের পরিচয়ে বিদেশিদের সাথে যে আত্মিক বন্ধন গড়ে ওঠে, তা কখনোই ভোলার নয়।’
স্পেনের নাগরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোসা বোরাজো বলেন, ‘ইত্যাদির মহড়া ও শুটিং শেষ হলে খুব মিস করি। হানিফ সংকেতের ধৈর্যের প্রশংসা করি। ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নিতে গিয়ে যখন কোনও কারণে অধৈর্য হয়ে পড়ি, তখন হানিফ সংকেতের কথা মনে পড়ে।’
ডাচ নাগরিক লেইসবেথ বলেন, ‘আমি অনেকের কাছে ইত্যাদির গল্প শুনেছি। এখন শুটিংয়ে এসে বুঝলাম এখানে না এলে আমি অনেক কিছু মিস করতাম। বেশি ভালো লাগে আমাদের পর্বটিতে একটা সামাজিক বক্তব্য থাকে।’
ব্রিটিশ নাগরিক ক্রেইগ বলেন, ‘ইত্যাদি টিম খুবই ভালো, অর্গানাইজড। আমি ইত্যাদিকে ভালোবাসি। এই নিয়ে চারবার অংশ নিলাম। হানিফ সংকেতের সাথে কাজ করলে বোঝা যায়, যে মানুষটি কোনও দিন অভিনয় করেনি, তাকেও তার পক্ষে শিল্পী বানানো সম্ভব। তার প্রমাণ আমরা।’
বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে হানিফ সংকেত বলেন, ‘এরা অপেশাদার। তবে অনেক পেশাদার শিল্পীরও এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে ওদের সময়জ্ঞান, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, কষ্ট করা, সহিষ্ণুতা, আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ। যেহেতু দর্শকরা এই পর্বটি অনেক পছন্দ করেন, তাই আমরাও অনেক যত্ন নিয়ে এই পর্বটি করার চেষ্টা করি। আশা করি প্রতিবারের মতো এবারও এই পর্বটি দর্শকদের অনেক আনন্দ দেবে।’