কেউ সুন্দর মানে আমার বাবা কম্পেয়ার করত, তার মেয়েদের মতো সুন্দর কিনা?
কেউ লম্বা হলে বাবা বলতেন, আমার মেয়েদের মতো উচ্চতা!
আমি সব সময়ই বাবা-মার বাধ্য মেয়ে ছিলাম।
শুধু একটা জায়গায় তা হয়নি। চিকিৎসক বাবা সবসময়ই চাইতেন আমি বাবার পেশাতে যাই। কিন্তু তা আর হলো না।
তিনি সবসময় চাইতেন তার মতো ডাক্তার হই। সেজন্য বিজ্ঞান বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু যে কোনও বিষয় পড়ে যতটা না পারি তার চেয়ে বেশি মনে থাকে শুনলে। বাবা এজন্য রোজ ভোর সাড়ে ৬টায় আমাকে ঘুম থেকে তুলে হাঁটতে বের হতেন। হাঁটার সময় ফিজিকস, বায়োলজি, কেমিস্ট্রি নিয়ে কথা বলতেন। যেন শুনে শুনে মনে থাকে আমার।
পড়াশোনা নিয়ে কখনও আমাকে চাপ দেননি। তিনি চাইতেন আমরা সংগীতচর্চা করি। এজন্য রোজ বিকেলে জোর করে হারমোনিয়াম নিয়ে বসতেন। আমাকে গল্প ও সাধারণ জ্ঞানের বই কিনে দিতেন।
আব্বার হয়তো আক্ষেপ ছিল আমি ডাক্তার হলাম না বলে। তিনি না চাইলেও আমার অভিনয় পারফরমেন্স দেখে একসময় গর্ব বোধ করতে লাগলেন।
একবার অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটল।
টের পেলাম, বাবার মনটা তখন অন্যরকম ভালোলাগায় ভরে গেল। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন যে, তার পরিচয়ে নয়, মেয়ের পরিচয়ে তাকে কেউ চিনল! বাবার এই খুশি হওয়াটা আমার অভিনয় জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি!
*প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার (১৬ জুন) উদযাপন করা হয় ‘বাবা দিবস’।