‘ছবিটি নিয়ে ঈদের যুদ্ধে নামতে চাই না’

ছবিতে ইয়াশ ও তিশাপ্রথমবারের মতো কোনও চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। নাম ‘মায়াবতী’।
অরুণ চৌধুরী পরিচালিত এই ছবিটি বাণিজ্যিক প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ১৬ জুন।
এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম বড় পর্দায় জুটিবদ্ধ হলেন তিশা ও ‘স্বপ্নজাল’ খ্যাত নায়ক ইয়াশ রোহান।
আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি ভিশন প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটি সেন্সর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরিচালক অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘‘সেন্সর বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা আমাদের এই চলচ্চিত্রটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। এজন্য তাদের তো অবশ্যই, সেই সাথে ‘মায়াবতী’ চলচ্চিত্রের প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’’
‘মায়াবতী’ চলচ্চিত্রে তিশা-ইয়াশ রোহান ছাড়াও রয়েছে মেধাবী অভিনয় শিল্পীদের সমাবেশ। যেমন, রাইসুল ইসলাম আসাদ, মামুনুর রশীদ, দিলারা জামান, ফজলুর রহমান বাবু, আফরোজা বানু, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আব্দুল্লাহ রানা, অরুণা বিশ্বাস, তানভীর হোসেন প্রবাল, আগুন প্রমুখ।
এ ছবির গল্পের পটভূমি সম্পর্কে অরুণ চৌধুরী জানান, মায়া নামের এক কিশোরী ছোটবেলায় তার মায়ের কাছ থেকে চুরি হয়ে ‘ওম্যান ট্রাফিকিং’-এর ফাঁদে পড়ে বিক্রি হয়ে যায় দৌলতদিয়ার রেডলাইট এরিয়ায়। সেই পাড়ায় মায়াকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে থাকেন সংগীত গুরু খোদা বক্স। ওদিকে মায়ার গানের প্রেমে পড়ে পাড়ার পাশে গৃহস্থবাড়ির পড়াশোনা করা ব্যারিস্টার পুত্র। বিধাতার নির্মম পরিহাসে একটা সময় মায়া ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনায়ও জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় নতুন গল্প। নতুন সংগ্রাম।  
শুটিং নির্মাতা ও কলা-কুশলীরানির্মাতা জানান, ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। তার ভাষায়, ‘আমরা এই ছবিটি নিয়ে ঈদের যুদ্ধে নামতে চাই না। খুব স্থির একটা সময়ে দর্শকদের কাছে যেতে চাই। আশা করছি সেপ্টেম্বরের ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ছবিটি রিলিজ দেবো।’
প্রায় ৮০০ নাটকের নাট্যকার-পরিচালক অরুণ চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আলতাবানু’ গত বছর মুক্তি পেয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি এরইমধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।