৩ জুলাই রাজধানীর এক হোটেলে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের শিল্পী ও নির্মাতাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা এবং এর মাধ্যমে এদেশের কনটেন্টগুলো বৈশ্বিক দর্শকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান জিফাইভ গ্লোবাল-এর চিফ বিজনেস অফিসার অর্চনা আনন্দ।
আগামী এক বছরে বাংলা ভাষায় ছয়টি মেগা প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে জিফাইভ। এর আওতায় এ দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে কাজ করবে প্ল্যাটফর্মটি। পাশাপাশি জিফাইভ অরিজিনালের নতুন কনটেন্টগুলোর জন্য তরুণ শিল্পীদের খুঁজে পেতে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামেরও আয়োজন করবে তারা। সহযোগিতায় থাকবে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
জিফাইভ গ্লোবালের চিফ বিজনেস অফিসার অর্চনা আনন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারকে আমরা যথেষ্ট প্রাধান্য দেই। এখানকার দর্শকদের কাছ থেকে আমরা যে সাড়া পেয়েছি তা অভূতপূর্ব। বাংলাদেশের শিল্পী ও নির্মাতাদের নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কাজের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি আমরা।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী, আইরিন সুলতানা, মাসুমা রহমান নাবিলা এবং জি-বাংলা’র ‘সা রো গা মা পা’ মাতানো বাংলাদেশি গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল।
রবি ও এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য জিফাইভ চালু হওয়া এবং স্থানীয় বিনোদন শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল নোবেলের মনমাতানো সংগীত পরিবেশনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো অনেক শিল্পীকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছে জি ও জিফাইভ। জিফাইভ এখন বাংলাদেশে; এর ফলে বৈশ্বিক দর্শকদের কাছে নিজেদের শিল্পীসত্তাকে পৌঁছে দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভক্তকূল গড়ে তোলার এক অনন্য সুযোগ পেলো এ দেশের শিল্পীরা।’
জিফাইভ হলো বিশ্ব মিডিয়া ও বিনোদন জগতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড (জিল) পরিচালিত একটি স্ট্রিমিং ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ১৯০টির বেশি দেশে কার্যক্রম শুরু করে জিফাইভ। তখন থেকেই প্ল্যাটফর্মটিতে হিন্দি, ইংরেজি, বাংলা, মালয়ালাম, তামিল, তেলেগু, কর্নাডা, মারাঠি, ওড়িয়া, ভোজপুরি, গুজরাটি ও পাঞ্জাবিসহ ১৭টি ভাষার কনটেন্ট রয়েছে। নতুন করে যোগ হয়েছে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ভাষার কনটেন্ট: মালয়, থাই, বাহাসা, জার্মান ও রাশিয়ান। জিফাইভ-এ রয়েছে এক লাখ ঘণ্টার অন ডিমান্ড কনটেন্ট এবং ৬০টিরও বেশি লাইভ টিভি চ্যানেল।