বিশ্ব বন্ধু দিবস

সিয়াম-শবনম ফারিয়ার বন্ধুত্বের গল্প

সিয়াম আহমেদ ও শবনম ফারিয়াপর্দার ব্যস্ততম তারকা শবনম ফারিয়া ও সিয়াম আহমেদ। দু’জনেরই শুরু ছোট পর্দা দিয়ে।
বিশেষ করে সিয়ামের এখন ব্যস্ততা মূলত বড় পর্দাতেই। তবে ফারিয়া এ বিষয়ে যেন একটু ধীরস্থির। ‘দেবী’ চমকের পর আবার নিয়মিত টিভি নাটকে। এগুলোর বাইরে মিডিয়ায় তাদের ভালো একটা পরিচয় আছে। তারা দুজন বেশ ভালো বন্ধু।
বিশেষ করে দুই পরিবারের কাছে তারা মধ্যমণি। আজ (৪ আগস্ট) বিশ্ব বন্ধু দিবসে থাকছে তাদের বন্ধুত্বের গল্প। বাংলা ট্রিবিউনের কাছে যেটা বলেছেন শবনম ফারিয়া

সিয়াম আহমেদ ও আমার মধ্যে মিল বলতে তেমন কিছু নেই। যদি বের করত হয় তাহলে বলতে হবে, আমরা দুজনই নাটকের মানুষ। অভিনয়ই আমাদের নেশা-পেশা। তবে আরও একটা বিষয় বিপরীতভাবে মিলে যায়। তার কোনও বোন নেই, আমারও কোনও ভাই নেই।
তাই পারিবারিকভাবে আমরা দুজনই দুই পরিবারের আপন ছেলেমেয়ে হয়ে আছি। কোনও অনুষ্ঠান হলে তার বা তার পরিবারের দাওয়াত থাকবেই। তবে দাওয়াত নয়, সে আমাদের পরিবারেরই একজন মানুষ।
গত ডিসেম্বরে সিয়ামের যখন বিয়ে হলো, আমি বোধহয় রাত ৪টা পর্যন্ত তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বাসায় ছিলাম। পরিবারের মেয়ের যে দায়িত্ব থাকে, আমারও যেন সেটাই ছিল। চেষ্টা করেছি পুরো আয়োজনে তাদের পরিবারের হয়ে কাজ করতে। আমার যখন গায়ে হলুদ হলো, সিয়াম সে অনুষ্ঠানে থাকতে পারেনি। কারণ সে ঢাকার বাইরে ছিল। পরদিন যখন ক্লান্ত হয়ে ঢাকায় ফিরলো, প্রথমেই আমাদের বাসায় নেমেছে। খোঁজ-খবর নিয়েছে।
এটা বন্ধু হিসেবে অনেক ভালোলাগার অনুভূতি তৈরি করে।
ওর সঙ্গে বেশ কিছু কাজও করেছি। মজার বিষয় হলো, আমাদের বন্ধুত্বের শুরু গাড়িতে। ২০১২ সালের একটি ঘরোয়া আয়োজনে আমি ঈষিকা খানের বাসায় গিয়েছিলাম। তখনই জানতে পারি সিয়াম ও আমার বাসা পাশাপাশি। আমার বাসা শান্তিনগর আর ওর বাসা রাজারবাগে। পরদিন একটা জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার গাড়ি নেই।
তখন কথা কথায় ঈষিকাকে বলেছিলাম, কাল যে কীভাবে যাবো!
তখন কথা হয় যে, সিয়াম যাওয়ার সময় আমাকে পিক করে নেবে। কথা অনুযায়ী সে আমাকে লিফট দেয়। এরপর গাড়িতে করে একসঙ্গে রওনা। তখনই আরও একটা তথ্য আবিষ্কার করি, সে আমার ব্যাচমেট! আমরা একই সালে পাস করেছি। ব্যাস, তখন থেকেই আমাদের বন্ধুত্বের শুরু!
অনুলিখন: ওয়ালিউল বিশ্বাস