ঈদ বিশেষ

‘আমার জীবনে শানু আপার অবদান অন্যরকম’

তারকা! যাকে দেখে বিমোহিত হন দর্শক শ্রোতারা। কিন্তু তারকাকেও আলো দেন কেউ কেউ, জড়িয়ে থাকে অনেক স্যাক্রিফাইসের গল্প। ঈদের বিশেষ আয়োজনে আমরা সেই গল্প শুনতে চেয়েছি তারকাদের মুখে। বলেছেন—অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস

মৌটুসী বিশ্বাস। ছবি: সাজ্জাদ হোসেনআমি চট্টগ্রামের মেয়ে। কিন্তু মিডিয়াটা ঢাকাকেন্দ্রিক। আজ থেকে ২০ বছর আগে যখন কাজ করতে এলাম যেন অথৈ সাগরে পড়লাম।
ঢাকায় কেউ নেই। মা ও বাবা পালাক্রমে আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। কিন্তু এভাবে আর কত?
এরপর শানু আপাকে পেলাম।
শানু আপা আমার বাবার ছাত্রী। বাবার বন্ধুর মেয়ে বলা যায়। বাবা বললেন সরাসরি শানুর বাড়িতে যাবে। দরকার হয় সেখানে তিন/চারদিন থাকবে। আবার কাজ শেষ করে চলে আসবে।
তার বাড়িতে নিজের মতো করে থাকা, এমন বোন পাওয়া, পরিবারের মতো করে থাকাটা ছিল বিশাল বিষয়। এ বাড়িতে থেকেই আমি কিন্তু ‘একান্নবর্তী’ নাটক করলাম।
শানু আপার সঙ্গে আমাদের পুরো পারিবার জড়িয়ে ছিলাম। তিনি যেন আমাদের পরিবারেরই সদস্য। আমার বিয়ের লগ্ন থেকে তুলে দেওয়া পর্যন্ত সব কাজ তিনি করেছেন।
তবে মিডিয়ায় আসার আগে মা-ই আমাকে প্রস্তুত করেছেন।
নানা ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে নাচ শেখানো সবই আমার মায়ের অবদান।
আমার মা মঞ্জু হাসি দত্ত আবার অধ্যাপক। ছোটবেলা থেকেই নাচ শেখানো থেকে শুরু করে সংস্কৃতির নানা আয়োজনে তার কারণেই অংশ নিতাম।
তাই আমার এই অবস্থানের জন্য মা ও শানু আপার অবদান অন্যরকম।
আম্মা কলেজে পড়াতেন। একটা সময় মা দেখলেন তিনি আর পারছেন না। তখন বললেন, তুমি পড়াশোনায় মন দাও। কিন্তু আমি কেন যেন নাচের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলাম।
চট্টগ্রামে অনেক শো করলাম। তখন চট্টগ্রামের একটি বড় আয়োজন হলো। সেখানকার আয়োজক বড় ভাইয়ের সঙ্গে অভিনেতা আফজাল হোসেনের পরিচয় ছিল। এরপরই তো আফজাল ভাইয়ের ডাক পেলাম। তিনি তখন বিজ্ঞাপনও নির্মাণ করেন। তার মাধ্যমেই প্রথম বিজ্ঞাপনে কাজ করা।

মজার বিষয় হলো, দীর্ঘ ২০ বছর পর আফজাল হোসেনের কাজ আবারও করছি। তার নির্দেশনায় এই ঈদে চ্যানেল আই’র ‘ছোট কাকু’ সিরিজে থাকছি। এখানেও আমি নাচের শিক্ষক!
তাই ধন্যবাদটা আফজাল হোসেনকেও দিতে চাই।
অনুলিখন: মাহমুদুল ইসলাম