বুসানে ফারুকীর ‌‘শনিবার বিকেল’

ছবির একটি দৃশ্যঅনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’। তবে থেমে নেই তার যাত্রা। বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে জায়গা করে নিচ্ছে ছবিটি।
এবার যেমন এটি সম্মানজনক আসর ‘বুসান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ স্থান করে নিয়েছে। চলচ্চিত্রটির এশিয়ান প্রিমিয়ার হচ্ছে এই আসরে। চলতি বছরে অক্টোবরের ৩ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত আয়োজিত হবে উৎসব। এতে যোগ দিতে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আগামী ৪ অক্টোবর বুসান যাচ্ছেন।

এছাড়াও বুসানের পর ‘শনিবার বিকেল’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এটি অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবর মাসে।

‘শনিবার বিকেল’-এ কাজ করেছেন বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। এরমধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্যালেস্টাইনের ইয়াদ হুরানিসহ অনেকে।শনিবার বিকেল-এ জাহিদ হাসান, তিশা ও পরমব্রত
চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন কাজাকিস্তানের চিত্রগ্রাহক আজিজ জাম্বাকিয়েভ। তিনি ২০১৩ সালে ‘হারমনি লেসন’ সিনেমাটির জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরস্কার সিলভার বিয়ার জিতেছিলেন।
নির্মাতা ফারুকী জানান, ‘শনিবার বিকেল’ একটি সিঙ্গেল শট সিনেমা। এর কারিগরি বিভাগে কাজ করেছেন চিত্রগ্রাহক আজিজ জাম্বাকিয়েভের নেতৃত্বে রাশিয়া থেকে আগত একটি সুদক্ষ দল।
চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন যৌথভাবে আবদুল আজিজ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও আনা কাচকো।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, ১ ভারতীয় ও ২ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হন। রাতভর সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার পরদিন (শনিবার) সকালে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’র মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে। পরে সেখান থেকে পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার হয়। আর সাইফুলের সহকারী জাকির হোসেন শাওন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ধারণা করা হয়, এমন নির্মম ঘটনার মানবিক কিছু দিক উঠে এসেছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’-এ। যদিও বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে এখনও খুব বেশি স্পষ্ট করেননি ‘ডুব’-খ্যাত এই নির্মাতা।